জাতীয় রাজতন্ত্রের উত্থান সম্পর্কে আলোচনা কর
জাতীয় রাজতন্ত্র বলতে বোঝায় এমন একটি রাজ্য যেখানে শাসক অর্থাৎ রাজা একটি বিশেষ জাতির নেতৃত্ব দেন ৷ এই রাজতন্ত্রের বহুবাদের অস্তিত্ব থাকে না এখানে রাজতন্ত্র ভাষাভিত্তিক ও জাতিভিত্তিক স্বতন্ত্র রক্ষা করে ৷ জাতীয় রাজতন্ত্র এবং জাতি রাজ্য বা রাষ্ট্র কথা দুটি প্রায় সমার্থক একটি বিশেষ জাতি ও ভাষার আর অধিকারী নাগরিকদের সমন্বয়ে জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে ৷ আবার এমনই একটি রাষ্ট্রের শাসক বার রাজাকে জাতীয় রাজতন্ত্রের প্রতীক বলে গণ্য করা হয় ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
জাতীয় রাজতন্ত্র গড়ে ওঠার পেছনে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল চার্চ ও রাষ্ট্রের পৃথকিকরণ ৷ উত্তরণ পর্বে ইউরোপে জাতীয় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল যে দেশগুলি তাদের মধ্যে অন্যতম ও অগ্রণী দেশ ছিল ইংল্যান্ড ৷ ইংল্যান্ডের ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমে আমেরিকান চার্চকে প্রথমে রোমান চার্চের নিয়ন্ত্রণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং এরপরে রিফর্মেশন পার্লামেন্টের আইনবিধির দ্বারা চার্চকে রাষ্ট্রের অধীনে একটি সংগঠনে পরিণত করা হয় । হবস যে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের প্রচার করেন সেখানে চার্চের কোন ভূমিকা স্বীকার করা হয়নি ৷অর্থাৎ পোপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন রাজার নেতৃত্বে যে শাসকতন্ত্রের তা বলা হয় তার রাজা কেন্দ্রিক জাতীয় রাজতন্ত্র সৃষ্টির পদগুলি খুলে দেয় ।
ষোড়শ শতকে বাণিজ্য বিকাশের সূত্রে ইউরোপের নানা অঞ্চলে যে বণিক শ্রেনির উদ্ভব ঘটে, তারা বাণিজ্যিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে একটি শক্তিশালী রাজতন্ত্রের আয়োজন অনুভব করেন ৷ বাণিজ্যের প্রয়োজনে এরা জাতীয় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে ৷ যেখানে রাজা কেবল সামন্ত প্রধান কিতাবের ন্যায় সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে রাজা একটি জাতির প্রতিনিধিদ্ধ করবেন ৷ এই ভাবনা জাতীয় রাজতন্ত্রের উত্থানের সহায়ক হয় ৷