ইতিহাসের উপাদান হিসাবে পুরাণের গুরুত্ব লেখো।
পুরাণ' কথার অর্থ হল 'প্রাচীন'। এর মধ্যে গাথা, কাহিনি, উপকথা, উপাখ্যান সবই অন্তর্ভুক্ত। ছান্দোগ্য উপনিষদে 'ইতিহাস-পুরাণ'কে 'পঞ্চমবেদ' বলে অভিহিত করা হয়েছে। অমরকোষ, বায়ুপুরাণ, মৎস্যপুরাণ প্রভৃতির মতে পুরাণের বিষয়বস্তু পাঁচটি। যথা-
- সর্গ (সৃষ্টি),
- প্রতিসর্গ (প্রলয়ের পর সৃষ্টি)
- বংশ (দেবতা ও ঋষিদের বংশ তালিকা)
- মন্বন্তর (১৪ জন মনুর শাসনের বিবরণ)
- বংশানুচরিত (রাজাদের বংশাবলি)।
ভারতীয় পুরাণের সংখ্যা ১৮টি। এরমধ্যে আছে ব্রহ্মপুরাণ, পদ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, মৎস্যপুরাণ প্রভৃতি এবং পুরাণগুলি বিভিন্ন সময়ে রচিত। পুরাণে বর্ণিত রাজবংশাদির বিবরণ ঐতিহাসিকদের কাছে মূল্যবান। এইসব অধ্যায়ে হর্ষঙ্ক, শিশুনাগ, নন্দ, মৌর্য, শৃঙ্খা, কাম্ব, সাতকাহন, গুপ্ত প্রভৃতি রাজবংশ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য আছে।
বিভিন্ন পূরাণে শক, যবন, আভীর, চুন প্রভৃতি বিদেশি জাতি সম্পর্কেও নানা মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক পাজিটার এবং ড. হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী পুরাণে বর্ণিত এইসব বংশাবলির ওপর ভিত্তি করে ইতিহাস রচনায় প্রয়াসী হন। এছাড়া ঈশ্বরতত্ত্ব, মূর্তিপূজো, সমাজ, স্থাপত্য, সংগীত, জ্যোতিষ, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত তীর্থস্থান প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোচনা আছে।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
 তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ইতিহাসের উপাদান হিসাবে পুরাণের গুরুত্ব লেখো। এই নোটটি পড়ার জন্য 
 

