ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাৎপর্য

ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাৎপর্য

ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাৎপর্য

ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাৎপর্য

ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাৎপর্য

ইংল্যান্ডের ইতিহাসে ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লব এক অতীব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তবে এই গৌরবময় শব্দটি নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে একাধিক ধারণা প্রচলিত রয়েছে। একদল ঐতিহাসিক মনে করেন এই বিপ্লবের মাধ্যমে যে সমস্ত পরিবর্তন ঘটেছিল সেগুলোর মধ্যে গৌরব উজ্জ্বল দিক বিশেষ ছিল না, অন্যদিকে কিছু ঐতিহাসিক এই বিপ্লবের মাধ্যমে উদারনৈতিক এবং গৌরবময় কিছু দিক খুঁজে পেয়েছেন। তাদের মতে এই বিপ্লবের সূত্র ধরেই ইংল্যান্ডে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন ঘটেছিল। এটি সরকারের একটি সফল ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তন ছিল, এটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং রাজার ক্ষমতাকে সীমিত করেছিল পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিকাশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

• ১৬৮৮ সালে নভেম্বরে রাজা দ্বিতীয় জেমস নিজের নির্বুদ্ধিতা এবং পরিস্থিতির চাপে ইংল্যান্ড ছেড়ে ফ্রান্সে আশ্রয় নিলে ইংল্যান্ডের সিংহাসন শূন্য হয়ে পড়ে। পার্লামেন্ট বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে রাজা দ্বিতীয় জেমসকে ক্ষমতাচ্যুত করেন, ফলে ক্যাথলিক দ্বিতীয় জেমসের স্থানে ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন প্রোটেস্ট্যান্ট রাজা তৃতীয় উইলিয়াম। এই সিংহাসন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক পালাবদলের জন্য ইংরেজদের কোন দুঃখ বরণ বা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি। তবে পূর্ব-প্রস্তুতি বিহীন, প্রজাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই শাসকের পরিবর্তন ঘটেছিল বলে অনেকে এই ঘটনাকে বিপ্লব বলতে কুণ্ঠিত হয়েছেন ৷ তবে সাফল্য যেভাবেই আসুক না কেন ইংল্যান্ডের ইতিহাসে তার অসামান্য ও সুদূরপ্রসারী গুরুত্বই তাকে বিপ্লবের মর্যাদায় ভূষিত করেছে।

গৌরবময় বিপ্লবের গৌরব নিহিত ছিল তার অনুগ্রতা ও রক্ষণশীলতার মধ্যে, এই বিপ্লবের পর ইংল্যান্ডের পুরানো শাসনতান্ত্রিক কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে গৌন কিছু কিছু প্রথা ও বিধান বর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষিত হয়েছিল। ১৬৮৮ সালের পর থেকে পার্লামেন্ট এবং রাজশক্তি দুটি, ব্রিটিশ সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে পরিগণিত হতে থাকে এবং একটি কে বাদ দিয়ে অপরটি একচ্ছত্র কর্তৃত্ব স্থাপনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিপ্লবের সংঘঠনের মূলে যারা ছিলেন তাদের কারোরই পার্লামেন্টের একক সার্বভৌমত্ব বা পার্টি ভিত্তিক সরকার কিংবা পূর্ণ গণতন্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা ছিলনা। মূলত কালের অগ্রগতির সঙ্গে এই বিপ্লবের মূল্য উপলব্ধ হতে থাকে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে এক সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের সুযোগ এনে দেয়।

১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজরা ঘটনা স্রোতের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য। রক্ষণশীল আন্দোলন হিসেবে উপস্থাপিত এই বিপ্লবের সামনে নতুন বা উন্নততর কোনো সমাজ পত্তনের লক্ষ্য ছিল না। তাদের যে সমস্ত সুপ্রাচীন ও কাল সম্মানিত অধিকার, অবৈধ, অনধিকারী শাসক দ্বিতীয় জেমস কেড়ে নিয়েছিলেন সেগুলি পুনরুদ্ধারেই তাদের সমস্ত উদ্যম ও সক্রিয়তা নিয়োজিত হয়েছিল। তবে এই গৌরবময় বিপ্লবের সঙ্গে . ফ্রান্সের বা রাশিয়ার বিপ্লবের কোন মিল ছিল না। এই বিপ্লবকে গণ আন্দোলন বা শ্রেণি সংগ্রাম হিসেবেও উপস্থাপিত করা যায় না। বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠীর সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন তাছাড়া প্রচলিত অর্থে এই ঘটনাকে বিপ্লব বলা যায় না। কেননা তা এমন কিছু আইন প্রণয়নের মধ্যে শেষ হয়েছিল যা সাবেকি ব্যবস্থার বিলুপ্তি না ঘটিয়ে পরিমার্জনা ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তাকে আরো দৃঢ়মূল করে দিয়েছিল।

গৌরবময় বিপ্লবের তাৎপর্য উন্মোচিত হতে থাকে উইলিয়াম ও মেরীর সিংহাসন প্রাপ্তির পর। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনার বিচার বিশ্লেষন এর মধ্য দিয়ে এ কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, এই বিপ্লবের জন্য ইংরেজদের মানসিক প্রস্তুতি প্রায় ছিল না। হুইগ ঐতিহাসিকরা এই বিপ্লবকে আধুনিককালের উদারনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করে তাকে পার্লামেন্টারি কর্তৃত্ব এবং আইনের শাসনের সূত্রপাত হিসেবে উপস্থাপিত করেছেন। তবে এই ঘটনাকে সরাসরি বিপ্লব বলে চিহ্নিত করে হুইগ ঐতিহাসিকরা জানিয়েছেন যে ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত পরিবর্তনগুলি ছিল সুদূরপ্রসারী। মেকলের মতে অবাধ বাণিজ্য, স্বাধীন পার্লামেন্টে চিন্তা ও মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে গৌরবময় বিপ্লবই আধুনিক ব্রিটেনের ইতিহাসের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল।

ক্রিস্টোফার হিল গৌরময় বিপ্লবের তাৎপর্য একটু অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে ১৬৮৮ সালের পর থেকে সমসাময়িক কালের ইউরোপীয় মান অনুসারে ইংল্যান্ড সম্পদশালীদের জন্য একটা ব্যতিক্রমী 'ফ্রী সোসাইটিতে' পরিণত হয়েছিল। গৌরবময় বিপ্লব প্রমাণ করে দিয়েছিল যে, পার্লামেন্টকে বাদ দিয়ে আর দেশ শাসন করা যাবে না। দেশে কোন স্থায়ী সৈন্য বাহিনী থাকরে না এবং গৌরবময় বিপ্লবের কিছু কাল পরে প্রবর্তিত বিল অফ রাইটস পার্লামেন্টের অধিকার গুলির রক্ষাকবচ হয়ে ওঠে। ব্যাপক তর দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে, ইংল্যান্ডে প্রতিনিধিত্ব মূলক শাসন ও ধর্মীয় স্বাধীনতার তত্ত্বের পূর্ণ সাফল্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তৃতীয় উইলিয়ামকে সিংহাসনে বসিয়ে পার্লামেন্ট প্রমাণ করেছিলা যে কোন দৈব অনুগ্রহ নয়, তার নিজের অস্তিত্বের মধ্যেই আছে রাজশক্তির উৎস এবং তার সহযোগিতাতেই রাজা দেশ শাসন করেন। মলত এই রিপর পার্লামেন্টকে জাতীয় জীবনে অসামান্য ক্ষমতা ও মর্যাদার আসনে বসিয়েছিল।

ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লব নিঃসন্দেহে হুইগ দর্শন সাফল্য তুলে ধরলেও তা অর্জিত হয় টোরিদের সহায়তায়। স্টুয়ার্ট দের শাসন শুরু হওয়ার পর দেশের সার্বভৌম শক্তিকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ রাজনীতিতে যে দীর্ঘ সংঘাত আরম্ভ হয়েছিল ১৬৮৮ সালের পার্লামেন্টের সাফল্যের মধ্য দিয়ে তার চূড়ান্ত পরিনতি ঘটে। এরপর থেকে হুইগদের দেখা গিয়েছিল অনুগত রাজতন্ত্রীদের ভূমিকায় কারণ ১৬৮৮ সালের বিপ্লব সৃষ্ট রাজতন্ত্র ছিল তাদের উদ্যোগ প্রসূত, অস্তিত্বের জন্য তাদের উপরে নির্ভরশীল। অপরপক্ষে টোরিদের অস্তিত্ব অনেকটা নির্ভর করত রাজ অনুগ্রহের উপর।

বিল অফ রাইটস এ রাজার সাসপেন্ডিং পাওয়ার কেড়ে নিয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে তার হস্তক্ষেপ অবৈধ বলে ঘোষিত হয়, পার্লামেন্টে সদস্যদের সরকারের সমালোচনা বিতর্কে অংশগ্রহণের অধিকার বৈধ বলে মেনে নিয়ে জানানো হয় যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাদের অভিযুক্ত বা বিচার করা যাবে না। কমিশন ও বিচারালয় গুলির অবলুপ্তি ঘটানো ছাড়াও রাজার পক্ষে স্থায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পার্লামেন্টের বিনা অনুমোদনে অর্থ সংগ্রহ অবৈধ বলে ঘোষিত হয় পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করে পার্লামেন্ট।

উইলিয়াম ও মেরি নিঃসন্তান হওয়ায় উত্তরাধিকার সম্পর্কিত প্রশ্নেরও মীমাংসা করেছিল বিল অব রাইটস। এর এক ধারায় বলা হয়েছিল যে, এদের মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডের সিংহাসনের বৈধ অধিকার পাবে মেরির সহোদরা অ্যান। ইংল্যান্ডের রাজ মুকুটের উপর স্টুয়ার্টদের সমস্ত দাবি নাকচ করে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, রোমান চার্চ পোপের ধর্মমতের অনুগামীদের পক্ষে এমনকি পেপিস্ট কে বিবাহ করলে কোন ব্যক্তির পক্ষে ইংল্যান্ডের সিংহাসনের দাবি অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তবে একই সঙ্গে পাস করা হয়েছিল সহিষ্ণুতার আইন। দ্বিতীয় জেমস এর আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার পুরস্কার স্বরূপ অনুগামীরা রাজ অনুগত থাকার শর্তে শাস্তিযোগ্য আইনের বাইরে থেকে যায়। তবে ক্যাথলিকদের সঙ্গে তাদেরও সরকারি পদাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। সে কারণে ভিন্ন ধর্ম মতাবলম্বীদের জন্য শাস্তি মূলক আইন গুলি বাতিল না করে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল। বিপ্লব পরবর্তী বন্দোবস্তে দেশের আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য নিউটিনি অ্যাক্ট-এ রাজাকে কেবল এক বছর জন্য দেশের সামরিক বাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ অধিকার দেওয়া হয়।

ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লব প্রকৃত অর্থে পার্লামেন্টারি শাসন প্রবর্তন করেনি, মন্ত্রী এবং বিচারক নিয়োগ এবং বরখাস্ত করার অধিকার রাজার হাতেই থেকে যায়। পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত রাখা বা ভেঙে দেওয়ার অধিকার থেকে রাজারকে বঞ্চিত করা হয়নি। বৈদেশিক নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজার অধিকার অপরিবর্তিত থেকে গিয়েছিল সুতরাং বৈপ্লবিক বন্দোবস্ত কাল উপযোগী পরিবর্তন ও পরিমার্জনা করে সাবেকি সংবিধানে ভারসাম্য রক্ষাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্ট এবং রাজশক্তি যুগ্মভাবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয় । এককভাবে কোন অংশকেই সর্বাধিকারী করা হয়নি ।

তবে গৌরবময় বিপ্লবের একটা অগৌরবের দিকও ছিল। মূলত এই বিপ্লব সম্পত্তিশালীদের দ্বারা এবং সম্পত্তি শালীদের জন্য সংঘটিত হওয়ায়, কেবলমাত্র তাদের সুযোগ-সুবিধার একটা স্থায়ী ভিত্তি গড়ে তোলার চেষ্টা হয়। ইংরেজ সমাজের সুবিধাহীন নিচু তলার মানুষের জন্য কোন সুখের সংবাদ এখানে বয়ে আসেনি। এমনকি সাম্যবাদী যে সমস্ত চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল সেগুলি আর শোনা যায়নি। শিক্ষিত বিত্তশালীরাই পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বের অধিকার পায়।

উপরের আলোচনার চনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবকে রক্ষণশীল বা অভিজত তান্ত্রিক বিপ্লব বলা চলে না। কারণ এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে সমস্ত পরিবর্তন ঘটেছিল সেগুলোর মধ্যে উদারনৈতিকতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায় বিত্তশালীরা সুযোগ-সুবিধা লাভ করলেও সাধারণ জনগণের স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়েছিল। দেশে আইন রাজার ঊর্ধ্বে উঠেছিল, জনগণের ভাগ্য নিয়ন্ত্ৰততা হয়ে উঠেছিল পার্লামেন্ট। এক কথায় ইংল্যান্ডে পার্লামেন্টীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উদ্ভব ও বিকাশ শুরু হয়েছিল।

গৌরবময় বিপ্লবের তাৎপর্য আলোচনা কর

গৌরবময় বিপ্লবের তাৎপর্য আলোচনা কর
৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত গৌরবয় বিপ্লবের গুরুত্ব বা তাৎপর্য নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে একাধিক ধারণা প্রচলিত আছে ৷ এক শ্রেণীর ঐতিহাসিক মনে করেন যে এই বিপ্লবের মাধ্যমেই যে সমস্ত পরিবর্তন এসেছিল সেগুলির মধ্যে গৌরব উজ্জ্বল দিক বিশেষ ছিল না ৷ এই বিপ্লবের মধ্যে একটি রক্ষণশীল চরিত্র তাদের দৃষ্টিতে ধরা পেয়েছে ৷ এই শ্রেণীর ঐতিহাসিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন জে. আর.টানার,ক্রিস্টোফার হিল রোজার লকিয়ার,জি. হলমস প্রমুখ ৷
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

অন্যদিকে যাদের দৃষ্টিতে এই বিপ্লবে উদারনৈতিক চরিত্র ধরা পড়েছে তারা এর মধ্যে গৌরবময় দিক খুঁজে পেয়েছেন ৷ যেমন ঐতিহাসিক জি.এম ট্র্যাভেলিয়ান, রাম.জে.মুর প্রমুখরা বলেন এই বিপ্লবের সূত্র ধরে যে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছিল তার দিকেই তাকিয়ে একে মূলত গৌরবময় বা গৌরব বিপ্লব বলে অভিহিত করা যায় ৷ এদের মতে গৌরবময় বিপ্লবের দ্বারা কোন রক্তপাত না ঘটলেই এই বিপ্লবের ফলে কতগুলি আইন পাশ হয়েছিল ৷

কিছু ঐতিহাসিক ১৬৮৮ সালের সংঘটিত গৌরবময় বিপ্লব সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ করে একে অ- গৌরবময় বিপ্লব বলে অভিহিত করলেও এই যুক্তি সর্বাংশে সত্য নয় । গৌরবময় বিপ্লবের প্রভাবেই ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়াম ইংল্যান্ডের জনগণের প্রস্তাবের সম্মত হন এবং তার ঐকান্তিক ইচ্ছার স্বৈরশাসক দ্বিতীয় জেমসকে সিংহাসন চ্যুত করা সম্ভব হয় ৷ তাছাড়া গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমেই ইংল্যান্ডে ক্যাবিনেট ব্যবস্থার উদ্ভবের ক্ষেত্রে তৈরি হয় এবং জনগণের ব্যক্তি স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয় । এই সমস্ত পরিবর্তনগুলি নিশ্চিতভাবে গৌরবের স্মারক ও বাহক ৷ সুতরাং ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের এই বিপ্লবকে গৌরমময় বিপ্লব বা গৌরাঙ্গ বলে আখ্যা দেওয়া যেতে পারে, কেননা পুরানো ধারার সঙ্গে গৌরবময় বিপ্লবের মারাত্মক কোন পার্থক্য ছিল না বললেই চলে ৷

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের (১৬৮৮) তাৎপর্য এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟