মাৎস্যন্যায় বলতে কী বোঝো অথবা, পাল বংশের শাসনের পূর্বে বাংলার অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ

মাৎস্যন্যায় বলতে কী বোঝো অথবা, পাল বংশের শাসনের পূর্বে বাংলার অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ

 মাৎস্যন্যায়  বলতে কী বোঝো
           অথবা,
পাল বংশের শাসনের পূর্বে বাংলার অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ

মাৎস্যন্যায়             আথবা, পাল বংশের শাসনের পূর্বে বাংলার অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ


গৌড় রাজ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে বঙ্গদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়েছিল ৷ কার্যত এই সময়ে বাংলাদেশে বহু ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং এখানে আইন-শৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটে ৷ এই সময় বাংলার সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল ৷ আইন-শৃঙ্খলতার চরম অবনতির ফলে দুর্বলের প্রতি সবাবলের অত্যাচার,দরিদ্রদের অতি ধনীর শোষণ সামাজিক বৈষম্য অত্যাচার এবং অনাচারের প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার এক অসাহনীয় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় । পুকুরের বড় মাছ যেমন ছোট মাছ গিলে ফেলে তেমনি দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার মাত্রাতিরাক্ত বৃদ্ধি পায় ৷ তারানাথ ও খালিমপুর এর .তাম্রশাসনেথেকে এই যুগে মাৎস্যন্যায় বলে অভিহিত করা হয়েছে ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

তিব্বতি ঐতিহাসিক লামা তারানাথ তৎকালীন বাংলার অবস্থা প্রসঙ্গে বলেছেন তখন বাংলার কোন রাজা ছিল না প্রত্যেক ক্ষত্রিয়,ব্রাহ্মণ,সামন্ত ও বণিক নিজ নিজ এলাকার স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন ৷ কিন্তু তখন সমগ্র দেশের কোন রাজা ছিল না । খালিমপুর তাম্রশাসনে হতে জানা যায় যে এই নৈরাজ্যকর অবস্থা বা মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটানোর জন্য প্রকৃতিপুজ্জ গোপালকে রাজপদে অভিসিক্ত করেছিলেন ৷ এখানে প্রকৃতি বলতে ঠিক কাদের বোঝানো হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে ৷ তবে মনে করা হয় প্রকৃতি পুজ্জা বলতে জনসাধারণের অর্থাৎ প্রজামন্ডলীকে বুঝিয়েছেন যারা গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন ৷


গোপালের সিংহাসন আরোহণের ফলে বাংলার মাছ অন্যের অবসান ঘটে ৷ খন্ডে খন্ড বিভক্ত রাজ্যগুলিকে একত্রিত করে গোপাল একটি কেন্দ্রীয় শক্তি প্রতিষ্ঠিত করেন ৷ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দূর করেন এবং বাংলার ইতিহাসে পাল বংশের এক নব্য অধ্যায়ের সূচনা ঘটায় ৷ ডক্টর রমেশ চন্দ্র মজুমদার তার "বাংলাদেশের ইতিহাস" গ্রন্থে লিখেছেন এই চরম দুঃখ দুর্দশা হতে মুক্তি লাভের জন্য বাঙালি জাতি যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দূরদর্শিতা ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছিল ইতিহাসে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

মাৎস্যন্যায় সম্পর্কিত আপনার সব প্রশ্নের উত্তরঃ

মাৎস্যন্যায় কি?

মাৎস্যন্যায় হলো এমন এক সমাজব্যবস্থা যেখানে দুর্বলরা সবসময় শক্তিশালীদের দ্বারা নিপীড়িত হয়, ঠিক যেমন বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে।

মাৎস্যন্যায় টীকা বা মাৎস্যন্যায় টিকা কী?

মাৎস্যন্যায় টীকা হলো এই ধারণার ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য, যা প্রাচীন গ্রন্থ বা ইতিহাসবিদদের রচনায় পাওয়া যায়।

মাৎস্যন্যায় বলতে কী বোঝায়?

মাৎস্যন্যায় বলতে বোঝায় একটি নৈরাজ্যকর সমাজব্যবস্থা যেখানে শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং জোর যার মুল্লুক তার নীতি চলে।

মাৎস্যন্যায় কি? (Class 7)

Class 7 এর পাঠ্য অনুযায়ী, মাৎস্যন্যায় হলো এমন একটি সময় যখন দেশে কোনো শাসক বা আইনকানুন ছিল না, এবং শক্তিশালীরা দুর্বলদের ওপর অত্যাচার করতো।

মাৎস্যন্যায় বলতে কী বোঝো?

মাৎস্যন্যায় বলতে বোঝায় এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা যেখানে আইনশৃঙ্খলা না থাকায় দুর্বলেরা সবসময় অত্যাচারিত হয়।

মাৎস্যন্যায় এর সময়কাল

মাৎস্যন্যায় মূলত গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে হর্ষবর্ধনের উত্থানের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালে ভারতীয় উপমহাদেশে বিদ্যমান ছিল।

মাৎস্যন্যায় যুগ কাকে বলে?

মাৎস্যন্যায় যুগ বলা হয় সেই সময়কে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আইন-শৃঙ্খলার অভাবে দুর্বলেরা অত্যাচারিত হতো এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করতো।

মাৎস্যন্যায় এর অবসান ঘটান কে?

হর্ষবর্ধন ভারতীয় উপমহাদেশে একটি শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলে মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটান।

মাৎস্যন্যায় যুগ

মাৎস্যন্যায় যুগ ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পরবর্তী সময়কাল, যখন কেন্দ্রীয় শাসন ভেঙে পড়ে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

মাৎস্যন্যায় বা, মাৎস্যন্যায় যুগ pdf

পিডিএফ নিতে নিচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে আমাদের জিমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟