আকবরের ধর্মীয় নীতি কিভাবে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করেছিল
![]() |
ব্যক্তি আকবর, মুঘল আকবর, মুসলমান আকবর জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিচল শাসক আকবর ইত্যাদি একাধিক ভিন্নমুখী সত্তার সমন্বয়ে আকবরের ধর্মভাবনা তিল তিল করে পরিণতি লাভ করেছিল । এই উদ্দেশ্যে আকবর ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে ফতেপুর স্বীকৃতি ইবাদত খানা স্থাপন করেছিলেন এবং সেখানে বিভিন্ন ধর্মের পন্ডিতদের আলোচনা শুনে তার মধ্যে সহিষ্ণুতার বাণী স্বাক্ষরিত হয়েছিল ৷
আকবরের ধর্মনীতির চরম পরিণতি হলো ১৫৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত দিন-ইলাহী ৷ যেটি ছিল বিভিন্ন ধর্মের সার বস্তু নিয়ে গঠিত একটি ধর্ম ৷ এটি আকবরের বহু ঈশ্বরবাদী দর্শন ও রহস্যবাদ ও প্রকৃতি উপাসনা এই ধর্মের স্থান পেয়েছে ৷ আকবর ধর্মীয় সমন্বয়ের দ্বারা রাষ্ট্রীয় ঐক্য গঠনের বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন ৷ আকবর তার ধর্ম সমন্বয়ের দ্বারা রাষ্ট্রীয় ঐক্য গঠনে প্রয়াসী হয়েছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে ডঃ ঈশ্বরী প্রসাদ উল্লেখ করেছেন যে সারাদেশকে ঐক্যসূত্রে গঠিত করার জন্য তিনি দ্বীন-ই-ইলাহি কে ব্যবহার করেছিলেন ৷ সম্রাটের এই উদারতাও বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ অবশ্যই তাকে ইতিহাসে চিরতরে অমর করে রাখবে ৷