ইউরোপীয় শক্তি সমবায় বা চতুশক্তি জোট
১৮১৫ খ্রীঃ ইউরোপীয় রাজনীতিতে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল যে নেপোলিয়ানের পতন । ওয়াটার লু রণক্ষেত্রে পরাজয়ের পর নেপোলিয়ানকে সেন্ট হলেনা দ্বীপে নির্বাসিত করা হয়ে ছিল ।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
নেপোলিয়ান যে সাম্রাজ্য সৃষ্টি বকরেছিলেন [1799-1840] খ্রীঃ তা ছিল নিঃসন্দেহে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির পক্ষে বিপদ জনক । তাই নেপোলিয়ানের পতনের চার বিজয়ী শক্তি অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও প্রাশিয়া ইউরোপ পুনঃগঠনের জন্য একটি শক্তি সমবায় গড়ে তোলো । চার বিজয়ী শক্তির প্রধান লক্ষই ছিল ইউরোপের শক্তি ও সমতা বজায় রাখা । ঐতিহাসিক ফিশার অবশ্য বলেছেন ফরাসি বিপ্লবে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার আদর্শ ইউরোপের রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির পক্ষে বিপদ জনক ছিল । তাই তারা কোনো ভাবেই নেপোলিয়ানের অভ্যুথ্যন আর ঘটতে দিতে চায়নি । ইউরোপীয় নেত্রীবর্গ ভিয়েনা চুক্তিরক্ষণ, ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নেপোলিয়ানে পুনরায় উত্থান রোদ বারার জন্য একটি স্থায়ী আর্ন্তজাতিক সংগঠন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করে ৷ আর নাম দেওয়া হয় ইউরোপীয় শক্তি সমবায় ।
ইউরোপীয় শক্তি সমবায় দুটি চুক্তির মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল । i) চতুশক্তি চুক্তি,(ⅱ) প্রবিত্র চুক্তি । 1815 খ্রীঃ ইউরোপীয় শক্তিগঠনে পরিত্র চুক্তি এবং চতুশক্তি চুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম । রাশিয়ার জার আলেকজান্ডার 1815 সালে 26 শে সেপ্টেম্বর ঘোষনা করে যে খ্রিস্ট ধর্মের আদর্শ অনুযায়ী প্রত্যেক চুক্তিবর্গ রাষ্ট্র পরস্পরকে ভ্রাতা বলে স্বীকার করবে । কেউ কারোর স্বার্থ চুন করবে না । এই সমবায় এর রাজারা প্রজাদের নিজ সন্তানের মতো দেখবে । মানব প্রেম ন্যায় অব্যৎ শান্তির ভিত্তিতে তারা রাজ্য শাসন করবে । পবিত্র চুক্তিতে প্রাশিয়া,রাশিয়া, অস্ট্রিয়া যোগ দেয় । তবে ইংল্যান্ড এই চুক্তিতে যোগদান করেনি কারণ, এই চুক্তিতে দায়িত্ব পালনে কোনো সুস্পষ্ট শর্ত উল্লেখিত ছিল না । পরবর্তীকালে মেটারনিক ও এই চুক্তির সমালোচলা করে, সুতরাং অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়া জারকে খুশি করার জন্য এই চুক্তি করলেও এরা আন্তরিক ছিলেন না মালে এই পবিত্র চুক্তি বিফলতায় পর্যভূষিত হয় ।