লিনলিখগো প্রস্তাব সম্বন্দ্বে আলোচনা করো।

লিনলিখগো প্রস্তাব সম্বন্দ্বে আলোচনা করো।

 লিনলিখগো প্রস্তাব সম্বন্ধে আলোচনা করো।

লিনলিখগো প্রস্তাব সম্বন্দ্বে আলোচনা করো।


ব্রিটিশ সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের সাহায্য লাভের কাক্ষ্য সচেষ্ট হয়ে ওঠে। এই লক্ষ্যপূরণের জন্য বড়োলাট লিনলিখগো ব্রিটিশ্বের সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং কিছু প্রস্তাব পেশ করেন যা লিনলিখগো প্রস্তাব নামে পরিচিত


এইসময় ভারতের বড়োলাট লিনলিথগো একতরফা ঘোষণায় বলেন। চোষণায় বলেন যে ভারত ব্রিটেনের পক্ষে বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। কিন্তু ডোমিনিয়ন ধরনের প্রকৃত ঘটনা হল যে লিনলিথগো ভারতীয় নেতৃবর্গ বা কেন্দ্রীয় ১৯৩৫ খ্রি এইনসভার সঙ্গে কোনোরকম পরামর্শ না করেই এই ঘোষণা করে দেন। আগে সংখ্যালঘু সম্প - এই লিনলিথগোর এই ঘোষণায় ভারতের জনগণ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন


 লিনলিথাগোর গোষণার প্রতিবাদে জাতীয় কংগ্রেস মন্ত্রীসভাগুলি থেকে পদত্যাগ করে। হবে। তবে কংগ্রেস ব্রিটিশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পথ খোলা রাখে । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এক প্রস্তাব গ্রহণ করে । এই প্রস্তাবে ব্রিটেনের পক্ষ অবলম্বনের ব্যাপারে কংগ্রেস দুটি শর্তের উল্লেখ করে। প্রথম শর্তে  বলা হয়, কেন্দ্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে  ৷ আর দ্বিতীয় শর্তে বলা হয়, ব্রিটিশকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে যুদ্ধ শেষে। তারা ভারতকে স্বাধীনতা প্রদান করবে। জাতীয় কংগ্রেসের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হয় বামপন্থী গোষ্ঠীগুলি।


বিশ্বযুদ্ধ শুধু হওয়ার পর থেকেই ব্রিটিশ ভারতে মুসলিম লিগকে অধিক গুরুত্ব দিতে শুরু করে। বিশেষত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লিগের বিয়েব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রিটিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে লিগ ও কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে। গভর্নর জেনারেল এক প্রফা ঘোষণায় বলেন (১৯৪০ খ্রি, ৮ আগস্ট)-
  • ব্রিটিশ স্যাকার ভারতে কন্তু ডোমিনিয়ান ধরনের এক দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে ইচ্ছুক।
  • ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের কোনো পরিবর্তন করার দ। আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরামর্শ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন দল, সম্প্রদায় এবং দেশীয় রাজাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ- আবার আলোচনা করা হবে।
  • ভারতে একটি যুদ্ধ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা

কংগ্রেসের রামগড় অধিবেশনে নর (১৯৪০ খ্রি, মার্চ) লিনলিথাগোর প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করা হয়। মর্তে তাই রামগড় অধিবেশনে স্থির হয়- -
  1. সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জাতীয় এব। কাগ্রেস অংশ নেবে না।
  2. ডোমিনিয়নের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা হবে।
  3.  গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে।
  4.  জাতীয় কংগ্রেস সাংগঠনিকভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করবে এবং সংকট তৈরি হলে আইন অমান্য করবে।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন


মুসলিম লিগ কংগ্রেসের গণপরিষদ গঠনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। লিগ আশঙ্কিত হয় এই ভেবে খ্রিস্টাব্দে ক্রি- যে, প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গণপরিষদ বা সংবিধান সভা গঠিত হলে জাতীয় কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব বা প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময়কালে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। ফলে জাতীয় রাজনীতি এক জটিল আবর্তে নিক্ষিপ্ত হয়।


সমালোচনা


প্রথমত, এই প্রথাবে মারবকে পূর্ণ স্বাধীনতাগানের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো উল্লেখ ছিল না। বলা হয়েছিল যুদ্ধ শেষে ভারতকে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের মধ্যে একটি ডোমিনিয়নের মর্যাদা দেওয়া হবে ।

দ্বিতীয়ত, এই প্রস্তাবে সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংখ্যাসমূদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এই অহেতুক অতিশ্রুতিদান আসলে জিমার পাকিস্তান সাদিতেই সমর্থন করেছিল বলা চলে। তাই এই প্রস্তাবকে কংগ্রেস হতাশাজনক বলে সমালোচনা করে।

জাতীয় কংগ্রেস যারা আগাল্ট প্রস্তাব সম্পূর্ণ রুপে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল । বড়োলাট লিনলিখগো ঘোষণায়
আপাত্তি তুলে গান্ধিজি বারিপাত সহ্যায়হের উদ্যোগ নেন। কংগ্রেস কার্যকরী সমিতির অনুমোদনের পর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলি এবং কায়েসের সাধারণ কর্মীগণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে আশ নেয়।


কংগ্রেস ছাড়াও লিগ সহ অন্যান্য দলগুলিও ব্রটিদের সংবিধান সভা বিরোধিতা শুরু করে । ফলে জাতীয় রাজনীতিতে এক অচলাবস্থা তৈরি হল। জাতীয় রাজনীতির এই অচলাবস্থা দূর করার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এই প্রস্তাবের কিছু অংশ সংশোধন করে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে  ক্লিপস মিশনকে ভারতে পাঠান।


আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

সম্ভাব্য প্রশ্নগুলি হলঃ

  • লিনলিখগো প্রস্তাব 
  • লিনলিখগো প্রস্তাব বা আগস্ট প্রস্তাব সম্পর্কে আলোচনা কর
  • লিনলিখগো প্রস্তাব কি? এর অপর নাম কি?

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ লিনলিখগো প্রস্তাব সম্বন্দ্বে আলোচনা করো। এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟