বাংলার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ক্ষেত্রে সমিতি ও সংগঠনগুলির মূল্যায়ন করো অথবা,কংগ্রেসের আদি পর্বের সংগঠন গুলির চরিত্র কেমন ছিল

বাংলার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ক্ষেত্রে সমিতি ও সংগঠনগুলির মূল্যায়ন করো  অথবা,কংগ্রেসের আদি পর্বের সংগঠন গুলির চরিত্র কেমন ছিল 



1905 খ্রিঃ স্বদেশি আন্দোলনের সূচনা হওয়ার পর বাংলার অঞ্চলে অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সমিতি গড়ে উঠতে থাকে। বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সমিতি ময়মনসিংপুরের ভক্তি সমিতি, সাধনা সমিতি, ফরিদপুরে ব্রতী সমিতি, ধরিশালের অনুশীলন সমিতি স্বদেশ বানুর সমিতি (৫৩০5) ঢাকার মক্তি সংখ (1905), ঢাকা অনুশীলন সমিতি, রংপুরের একটি সমিতি প্রভৃতি। অন্যান্য সংগঠনগুলির মধ্যে ছিল আহিরীটোলায় ললিত মোহন ঘোষালের সমিতি, মধ্য কোলকাতার ইন্দ্রনাথ নদীর কোলকাতা ভান্ডার, এতী সমিতির শামা, দর্জিপাড়া পটলডাঙা শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু অ্যামিট সার্কুলার সোসাইটি প্রভৃতি । সমিতি গুলির কে বিভিন্ন ধরনের বলা হচ্ছে তার কারণ তাদের চরিত্র বা কাজের ধারা একই ধরনের ছিলনা কোনো কোনো সমিতি ছিল প্রধানত সমাজসেবা এবং শরীরচর্চার কেন্দ্রে। আবার কোনোটির কাজ ছিল কেবল স্বদেশি ভাবধারা প্রচার । কোনো কোনোটির মধ্যে ছিল সুপ্ত আবার গুপ্ত রাজনীতির বীজ্য। 


আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
১৯০৩ সালের একটি গোপন সরকারি Report এ বিভিন্ন সমিতির নাম পাওয়া যায়। যেমন- Students' Union, বন্দেমাতরম সম্প্রদায়, ডন সোসাইটি, অ্যান্টি সার্কেলার সোসাইটি, ভারত অনুশীলন সমিতি, ডন সোসাইটি স্বদেশি ভাবধারা প্রচার করত, অ্যান্টি সাকলার সোসাইটি সমিতি কমবাট, পিকেটিং ইত্যাদি পরিচালনা করত । অন্যান্য সংগঠন গুলির মধ্যে বন্দেমাতরম সম্প্রদায় স্বদেশি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ সংগঠন আবার সরলাদেবীর ব্লার বীরাষ্টমী এবং প্রতাপাদিত্য উৎসবের আয়োজন করে এক ধরনের জঙ্গী জাতীয়তাবাদ প্রচার করেছিল । ময়মনসিংহের মধিনা সমিতিকে সরলাদেবী অর্থ ও প্রেরণা দিয়ে সাহায্য করেছিল। এই অবিলকার বাইরে সম্মিলনী ও রংপুরের সমিতিটি শরীরচর্চার কেন্দ্র নিহসাবেই গড়ে উঠেছিল কিন্তু পরে চরিত্র বদলায় কলকাতার সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। রংপুরের সমিতিটি গঠনের পিছনে স্থানীয় কয়েকজন ফিকশঝাক এবং আইনজীবির উৎসাহ ছিল। 


অনুশীলন সমিতির শাখা িিহসেবে ঢোকা অনুশীলন সমিতির উত্থান হয়া 1905 এর অক্টোবরে। প্রমথ সিংহের উপস্থিতিতে পরিচালক নির্বচিত হন পুলিন দাস, প্রায় 73 ডজন যুবক এই সমিতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সুমিত সরকার সেসিয়েছেন স্বদেশি আন্দোলনের প্রধানত চারটি ধারা ছিল মেসানে সুরেন্দ্রনাম মদ্যোপাধ্যায়ের মতো নরমণাল্পীরাও আছেন। এরা আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ রাসতে চেয়েছিলেন কম্বাটের মধ্যে। আর একটি মতবাদ নিছল গঠনমূলক স্বদেশি কেবলমাত্র বয়কট আর বিলাতি নিউজনিস পোড়ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না নেমে তাঁরা জোর দিতেন আত্মনির্ভরতা, জাতীয় তঐক্য, জাতীয় শিক্ষাবিস্তারের ওপর, তৃতীয় ধারাটি ছিল চরমপন্থা, প্রতিবিনধিত্ব করতেন বিপনচন্দ্র পাল, প্রমথ মিত্র, সুবোধ মল্লিক, আিিমদ সোয় প্রমুখ। বয়কটকে তারা একটি সামগ্রিক ও ডাড়ি আন্দোলনের রূপ দিতে চেয়েছিলেন, আর চতুর্থ ধারাটি ছিল বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদ ইংরেজ রাঙা প্রতিনিধিদের হত্যা করে তাঁরা দেশময় একটা আলোয়ন গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। আন্দোলনের অধোবারে সূচনাপর্বে প্রবাসী পত্রিকায় প্রহাাশিত চ্যাতীয় একতা' নামে একটি রচনায় বিশবনাম শাস্ত্রী লেখেন "জাতীয় পকতার আর িিভত্তি বারে ড্যাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। প্রবাসীর মতে স্বদেশি যুগের সম্প্রিামশন ও মটনা চুড়ি ভাঙা বা বিলিতি কাপড় পোড়ানো নয়। বোঝা যায় যে, িিরঝোড আন্দোলনে 2/4 চাইতে আত্মনির্ভরতা, আত্মসম্মান অর্জনের প্রয়াস, গুরুত্ব দিয়ে প্রবাসী। যদিও ছাত্রদের রাজনীতিতে যোগদান প্রবাসী সমর্থন করে কারন এবাসা কেউ বলবেনা সে রাজনীতি খারাপ নিটা নিস, কারশালের আশ্বিনীকুমার দত্তের স্বদেশ কান্ধন সমিতি স্বদেশি ভাবধারা প্রচার আরমমাহ সেবার প্রতিস্ঠান ছিল। অশ্বিনীকুমার দত্তের প্রেরণায় মুকুন্দ দাস সে গান গেয়ে শোতেন তার মেজাজ ছিল ছাড়ি প্রতিরোধের আস্থানও কমনও কমনও থাবাত সেইসব গানে। স্বদেশি আন্দোলনের ধারা ও গতিপ্রকৃতি নিয়ে সংগঠক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ ছিল। 


'হাবাসী নব্যভারত প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর পড়ে। পত্রিকা গুরুত্ব দেয় সমাজ সংস্কার ওআগর। তাছাড়া সশস্ত্র পদ্মার িিদবেশ মুশারা যে আমা ঋবেক পরেন তার কারণ নিমত সরকার দেখিয়েছেন যে সসকট আন্দোলনের ব্যর্থতা এই আন্দোলনকে বোবলমাত্র নিবলতি জিনিস বর্জন আর স্কুল কলেজে পড়ার মধ্যে আটকে না রেমে গন আন্দোলনের স্তরে নিয়ে যাবার যে সম্ভাবনা ছিল নেতারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। পারেননি নরমপন্থীর সাথে চরমপন্থীর নিবরোধ তীর হয় এবং প্রকট হয়ে পড়ে সুরাট কংসেসের অধিবেশনে। ঋদ্ধ বিরক্ত মুফরা নেতাদের ওপর ভরসা রামতে না পেরে নিজেরাই পথ খুঁজে নিতে তৎপর হয়। 1906 এর মার্চে যুগান্তর পত্রিকা জন্ম হল এই িিবক্ষুব্ধ সমাজের মুখপত্র হিসাবে।


২৯ আগস্ট 1905 খ্রি অভূভজের বিরুদ্ধে টাউন হলে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ সভা হয়, উপস্থিত থাকেন নরম এবং চরম দুই পন্থারই নেতারাই। আন্দোলনের রণকৌশল ঠিক হয়েছে বমন্টে পিবোটিং কিন্তু পরই মধ্যে কেবা নেতাদের পবোটে গুঁজে দিয়ে গেছে একটি গোপন ইস্তেহার 'সোনার বাংলা' তীব্র জ্বালাময় তার ভাষা ডাক দেওয়া হয়েছে বিদ্রোহের নরমনাক্ষী নেতা সুরেন্দ্রনাথের পকেটেও কে একজন পুরে দিয়ে গেছে একটি বলি, তারপর থেকে হাজারে হাজারে নিটলি হয়েছে সেন্ট ইস্তেহার প্রকাশিত হয়েছে 'ইংরেজী এবং বাংলায় তার কয়েবাটি সংস্করণ সংস্করনের আহ্বান "প্রত্যেক স্থানে "দলবদ্ধ হস্ত" গুপ্ত সভা বারিয়া িিনজেদের ও দেশকে সাধীনতার জন্য প্রস্তুত করো। যে যে প্রকারে অস্ত্র সততম বারিয়া রাম, ইস্তেহারুগুলি কে বা কারা প্রকাশ করেছিল জোনা যায়না, তবে ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় ইস্তেহারটি দেশময় একটি চাঞ্চল্য জানিয়েছিল।

1906 সালে 13 April বরিশাল শহরে প্রাদেশিক কংগ্রেসের অধিবেশনে বামী এবং সচ্ছাসেবকদের ওপর নির্মমভাবে লাঠি চালাত। পুলিশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গুরুতরভাবে আহত হন সুদেশি নেতারা বরিশালের পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় সুনসমাজে ক্রোধে অমীর হয়ে উঠেছিল, বিপিনচন্দ্র পাল তারণারত সভা চালাতে চেয়েছিলেন কিন্তু অন্যান্য নেতারা সাহস পাননি, তবে পত্রপত্রিকায় তীব্র আক্রমনাত্মক রচনা প্রকাশিত হতে থাকে। পূর্ববজের গর্ভনর বুমামাশ্য ফুলার দেশবাসীর চোখে মুর্তিমান দানব হয়ে ওঠে, ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে ময়মনসিংহে পুলিশ স্বদেশি শমীদের ওপরে নির্ধতন চালায়, হিতবার্তা পত্রিকায় লেখা হয় তাই দৃস্ট লোকগুলির নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই, আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে িিদতে চাই সে তার পরিনাদ হবে না।

ধরিশালের সটনার প্রতিহিয়ায় একের পর এক সভা হতে থাকে 'কোলকাতায় 'মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা নিজে উপস্থিত থেকে বর্ণনা করেন মোট সেই নির্মম নির্যাতনের কাহিনী 14ই April একটি সভায় উপস্থিত থাকেন সুবোধ মল্লিক এমুবান্ধব উপাধ্যায় প্রমুখরা প্রমুখ মনোরঞ্জন অত্যন্ত অত্যন্ত মর্মস্পর্শী তোমায় তাঁর পুত্রের ওপর অত্যাচারের কাহিনী শোনান, 29 April একটি সভায় কার্জনের সাঁসি দাবি করেন তিনি। 1907 সালে সুশীল সেন নামে আর একটি মুরহের অত্যাচারিত হওয়ার কথা বলেন সমাজে কেহ পত্রিকায় সুশীলের অত্যাচারিত হওয়ার কাহিনী হপ্রকাশিত হতে থাকে।


বরিশাল হাজামা এবং বলেমোতরম এবং যুগান্তর মামলা বিদেশি প্রশমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সদর্শন আর জনমত গঠনের উপলক্ষ্য হয়ে যায় বিপিনচন্দ্র পাল, তামাম মিস, সুবোন মল্লিক ঢাকা এবং পূরিজের আরো কয়েকটি জায়গায় ঘুরে স্বদেশি প্রচার চালাতে থাকে। তামথ মিত্র, সুবাদের প্রকাশ্যে ঢাকা চলতে থাকে। 'স্বদেশি মায়েশি বিলাতী নির্জনে কিছু হবেনা ক্ষমতা থাকে তো ইংরেজদের জাটকাও তাড়াত নয়তো মরো। 1907 সালের মধ্যে বাংলা রাজনৈতিক বাতাবরণ এইভাবে প্রভূত আপ সঞ্চারিত হয়ে থাম। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নরমপন্থী নেতাও পরোক্ষে সুবাদের 'সন্ত্রাসবাদী কাজে উৎসাহিত করতে থাকেন স্বদেশি সভাগুলিতে ভাষন এবং গানের ভাষায় অনেক সময়ই বিদ্রোহের আত্মান শোনা যায়।

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟