হরপ্পা সভ্যতা এই নামকরণ কেন করা হয়েছে
হরপ্পা সভ্যতা এই নামকরণ কেন করা হয়েছে
সিন্ধু সভ্যতা কে কেন্দ্র করে গবেষণার প্রাথমিক পর্বে অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন সিন্ধু উপত্যকার বিভিন্ন অংশ এই সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। যে কারণে এটিকে সিন্ধু বিউপত্যকা সভ্যতা বা সিন্ধু সভ্যতা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ৷ মার্টিমার হুইলার সহ বহু পুরাতত্ত্ববিদ এই সভ্যতার নামকরণ করেছেন সিন্ধু সভ্যতা, কিন্তু এই সভ্যতার বহু নিদর্শন সিন্ধু উপত্যকার বাইরে পাওয়া গেলেও তখন এই সভ্যতার নামকরণের পরিবর্তন অনুভূত হয় ৷ বিগত ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের ন্যয় অঞ্চলে বিশেষত পাকিস্তান ও ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক বিশেষ অংশ জুড়ে এই সভ্যতার ভৌগোলিক বিস্তৃত তথা প্রসার ঘটেছে ৷ বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্গত পাঞ্জাব- সিন্ধু এলাকা ও বালুচিস্তান ছাড়াও ভারতের জম্মু , হারিয়ানা,পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল উত্তর রাজস্থান,গুজরাট, মহারাষ্ট্রের এই সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে ৷ তাই ভৌগোলিক ব্যক্তির দিক থেকে এই সভ্যতার বিকল্প নামকরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূতি হয়েছিল ৷
প্রসঙ্গত এই সভ্যতার অন্তর্গত প্রথম যে প্রত্নস্থলটি প্রথম তাত্ত্বিকদের দৃষ্টি কোচর হয়েছিল তা ছিল হরপ্পা | উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিশিষ্ট পুরাতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম হরপ্পাতে গিয়ে এখানকার কয়েকটি সীলমোহর উদ্ধার করেন ৷ কিন্তু ক্যানিংহাম আগ্রহ যেহেতু ছিল বৌদ্ধ পুরাতন কীর্তি উদ্ধার সেই কারণে এই শিলমোহর গুলি হরপ্পার পুরাতাত্বিক তাৎপর্য তার কাছে অগ্রাধিকার পায়নি ৷ তবে কানিংহাম যে হরপ্পা পরিদর্শন নিয়ে গিয়েছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু এই সভ্যতার অন্তর্গত সমস্ত প্রশ্নস্থলে মধ্যে হরপ্পাতে সর্বপ্রথম উৎকরণ শুরু হয়েছিল যার কৃতিত্ব দয়ারাম সাহানির প্রাপ্য ৷
সুতরাং হরপ্পার এই দুই বিশেষ গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে এই সভ্যতার নামকরণ করা হয়েছে হরপ্পা সভ্যতা ৷