কৌলিন্য প্রথা কি অথবা কৌলিন্য প্রথা সম্পর্কে কি জানো
সংস্কৃত শব্দ কুলিন থেকে কৌলিন্য শব্দের উৎপত্তি।।কৌলিন্য হল "হিন্দু কুল ও বর্ণ সমীকরণ আইন" যা বল্লাল সেন দ্বারা ১১৫৮-৬৯ সনে সেন সাম্রাজ্যে প্রবর্তিত হয় ৷ বাংলার রাজা বল্লাল সেন সিংহাসন আরোহন করে কেবলমাত্র রাজ্য শাসন সংক্রান্ত কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন না ৷ সমাজ সংস্কারক হিসাবে ও তার যথেষ্ট অবদান ও খ্যাতি ছিল ৷ তার রাজত্বকাল পর্যন্ত বাংলার সমাজ ব্যবস্থার তিনটি উচ্চ বর্ণের প্রধান্য ছিল ৷ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্য কায়স্থ এবং বৈদ্য ৷ উচ্চগণ্য তিনটি সমাজের বিশেষ প্রাধান্য ও প্রতিপত্তি বিস্তার করে সমাজে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেন ৷ বল্লাল সেন সিংহাসন আরোহন করে সমাজের এ দিক টির দৃষ্টবাদ করেন ৷ তিনি সমাজের কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তন করতে গিয়ে কয়েকটি কে সমাজে বিশেষ মর্যাদা দান করেন তার চরিত কথা থেকে জানা যায় সমাজে কাকে বা কাদের মর্যাদা দান করেন ৷ তার চরিতকথা থেকে জানা যায় সমাজে কাকে এই প্রতিপন্ন করতে হবে তার রাজার খেয়াল খুশির উপর নির্ভর করত ৷ রাজার মর্জির ওপর কোন বর্ণ বা গোষ্ঠীকে সামাজিক মর্যাদা দান করে কৌলিন্য প্রথা কে কার্যকরী করতেন ৷ আবার নিজ নিজ বর্ণের কুলীনরা সামাজিক মর্যাদা সর্বাধিক ভোগ করতে পারতো বলে পরবর্তীকালে কৌলিন্য প্রথা বিপথগামী হতে থাকে ৷ ফলে কুলীনরা নানারকম দুর্নীতি এবং ব্যভিচার কৌলিন্য প্রথাকে বিপদে পরিচালিতর মাধ্যমে কলুষিত করে তোলে এবং সমাজে নানা রকম দুর্নীতি স্থান পায় ।