ইন্দো রোমান বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো
ইন্দো রোমান বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো :-
প্রাচীনকাল হতেই ভারত ছিল বিভিন্ন সভ্যতার মিলন ক্ষেত্র ৷ এর প্রধান প্রধান কারণ হলো ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান ৷ মৌর্যতার যুগকে ভারতের একাধিক বহিরবাণিজ্যের বিশেষ প্রসার ঘটেছিল । যার মধ্যে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতক কিছুটা আকস্মিকভাবেই পরিস্থিতির চাপে পড়ে একদা রোমান সাম্রাজ্য চীনের রেশমের ব্যাপক চাহিদা ছিল ৷ এই রেশম স্থলপথে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে রোমান সাম্রাজ্যে পৌঁছাতো ৷ এই যাতায়াতের স্থলপত্রে উনবিংশ শতাব্দী থেকে রেশম পথ নামে পরিচিতি লাভ করে ৷ স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য করার নানাবিদ অনুবিভাগ থাকাই বিকল্প পথে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভারত এই বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে ৷
ইন্দো রোমান বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের দুই উপকূলের বন্দরগুলির সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল । এই বন্দর গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধুর নদীর মোহনায় অবস্থিত "বারকরিকণ" প্যারি প্লাস এর বর্ণনা অনুসারে মিশর থেকে পণ্য এসে এখানে জমা এবং এখান থেকে ব্যাকটেরিয়া ও চিনে প্রেরিত হয় ৷ periplus উল্লেখ অনুসারে খ্রিস্টীয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতকের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল ভারতের পশ্চিম উপকূলে "বারুগাছা" ৷ এই বন্দরটি ছিল আমদানি ও রপ্তানির প্রধান কেন্দ্র ৷ এই বন্দটির সঙ্গে স্থানীয় ও দূরবর্তী বহু বন্দরের যোগ ছিল ৷ বন্দরটি নহপানের অধীনে ছিল ৷ মীরনগর থেকে সুতিবস্ত্র বারুগাছায় আসতো,এমনকি কাশ্মীর , হিন্দুকুশ,কাবুল অঞ্চল থেকে রোমান সাম্রাজ্যের রপ্তানির জন্য এই পণ্য বন্দরে নিয়ে আসা হতো ।
পেরিপ্লাস থেকে বারুগাছা দক্ষিনে অবস্থিত আরও তিনটি বন্দরের নাম জানা যায় এগুলি হল শূপারক , কল্যাণ ও চোল ৷ পেরিপ্লাসের বর্ণনা অনুযায়ী মানবর উপকূলে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল 'মুজিরিখ' ৷