ক্লিওপেট্রার সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা,প্রাচীন মিশরে ক্লিওপেট্রার পরিচয় ও কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা করো।
মিশরের ইতিহাসে যে ক্লিওপেট্রার নাম সর্বাধিক প্রসিদ্ধ, তিনিই হলেন মিশরের টলেমি বংশের শেষ শাসক সপ্তম ক্লিওপেট্রা। ক্লিওপেট্রা ৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বাদশ উলেমির কন্যা ক্লিওপেট্রা ছিলেন অসাধারণ বুদ্ধিমতী এবং উচ্চশিক্ষিতা নারী।
প্রাচীন মিশরে ক্লিওপেট্রার কার্যাবলি
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
সুন্দরী অষ্টাদশী ক্লিওপেট্রা প্রথমদিকে তাঁর পিতার সহ-শাসক হিসেবে মিশর শাসন করলেও পিতার মৃত্যুর পর তাঁর চেয়ে ব্যয়যে আট বছরের ছোটো ভাই প্রয়োদশ উসেমিকে বিবাঃ করে বিশরে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। এর কারণ হল, ফিগরের চলিত রীতি ছিল কোনো সঙ্গীর সঙ্গে যৌথভাবে দেশশাষন করতে হবে।
রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার ৪২ খ্রিস্টাব্দে মিশ্বর অভিযান করলে ক্লিওপেট্রা পরাজিত হল এবং ক্লিওপেট্রাকে রোমে আনা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ক্লিওপেট্রা ও রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জুলিয়াস সিজার ক্লিওপেট্রাকে পুনরায় মিশরের পালকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন।
সিজার ব্রুটাস নামে এক আততায়ীর হাতে নিহত (৪৪ খ্রি. পূ.) হলে ক্লিওপেট্রা মিশরে ফিরে আসেন এবং তাঁর অপর ছোটো ডাই চতুদশ টলেমিকে নামমাত্র বিবাহ করে মিশর শাসন করতে থাকেন । এক বছরের মধ্যেই চতুর্দশ টলেমিকে হত্যা করে ক্লিওপেট্রা জুলিয়াস সিজারের ঔরসজাত সন্তান পঞ্চদশ টলেমির (সিজারিয়ন) সলো মিলিতভাবে মিশর শাসন করতে থাকেন।
জুলিয়াস সিজার নিহত হওয়া তিন বছর পর রোমান বেনাপতি ও মৃত জুলিয়াস সিজারের বন্ধু থাক অ্যাপনি মিশর অভিযানে আসেন। আল্টেনি মিশরের সিংহাসন লাভের উদ্দেশ্যে ক্লিওপেট্রাকে বিবাহ (৩৬ খ্রি. পূ.) করেন। ক্লিওপেট্রা মার্ক অ্যান্টনির বজ্যে মিত্রতা স্থাপন করে মিশরের স্বাধীনতা রক্ষার চেষ্টা করেন।
ক্লিওপেট্রা ও অ্যান্টনির মিলিত বাহিনী শীঘ্রই অ্যাকটিয়ামের যুদ্ধে রোমান শাসক অক্টাভিয়াস সিজারের মুখোমুখি হয় । ক্লিওপেট্রা অ্যাকটিয়ামের যুদ্ধে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়ে সৈন্যদল নিয়ে পিছিয়ে এলেও অ্যান্টনিও সেনাদলকে ফেলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিরে আসেন। ফলে রোমান শাসক অক্টাভিয়াসের বাহিনী মুখে চূড়ান্তভাবে জয়লাভ করে (৩১ খ্রি. পূ.)। এর ফলে
এরপর অক্টাভিয়াস সিজার রানি ক্লিওপেট্রার দুইডা আকবরের এতে সন্তানকে হত্যা করেন এবং ক্লিওপেট্রাকে বিবাহ করতে চান। কিন্তু ক্লিওপেট্রা এই বিবাহে অসম্মত হন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তিনি ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ১২ আগস্ট 'অ্যাসপ' (কেউটে জাতীয়) নামে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মাত্র ৩৯ বছর বয়স আত্মহত্যা করেন ।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ক্লিওপেট্রার সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা,প্রাচীন মিশরে ক্লিওপেট্রার পরিচয় ও কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা করো। এই নোটটি পড়ার জন্য