সুলতানি যুগের কর ব্যবস্থা আলোচনা কর অথবা, খারজ, খামাস,যাকাত ও জিজিয়া সম্পর্কে যা জানো তা লেখ।

সুলতানি যুগের কর ব্যবস্থা আলোচনা কর অথবা, খারজ, খামাস,যাকাত ও জিজিয়া সম্পর্কে যা জানো তা লেখ।

সুলতানি যুগের কর ব্যবস্থা আলোচনা কর 
                         অথবা, 
খারজ, খামাস,যাকাত ও জিজিয়া সম্পর্কে যা জানো তা লেখ।


সুলতানি যুগের কর ব্যবস্থা আলোচনা কর                           অথবা,  খারজ, খামাস,যাকাত ও জিজিয়া সম্পর্কে যা জানো তা লেখ।



হানিফের মতাদর্শ অনুযায় অনুযায়ী গজনীর শাসক গোষ্ঠী দিল্লির সুলতানগন শরিয়ৎ এর নির্দেশ অনুযায়ী তারা চার প্রকার কর আদায় করত ৷ যথা খারজ, খামাস,যাকাত ও জিজিয়া ৷ এই চার প্রকার কর ছাড়াও খনিজ সম্পদ ও মূল্যবান ধাতুর উপর ধার্য কর উত্তর অধিকারীহীন সম্পত্তির উপর ধার্যকর এছাড়াও বিভিন্ন জায়গার নানান ধরনের উপশুল্ক আদায় করা হতো ৷


Related Posts


(১). দিল্লির সুলতানি আমলে মুসলিম কৃষকদের অধিকৃত জমির উপর ধার্য করকে খারজ বলা হতো ৷ ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী একের দশ থেকে একের দুই পর্যন্ত এই কর ধার্য করা হতো ৷

(২). বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করার পর লুণ্ঠিত সম্পত্তির একের পাঁচ অংশ কর রাষ্ট্রকে দিতে হতো যা খামোশ নামে পরিচিত ৷ বাকি লুন্ঠিত সম্পদ সৈন্যরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিত ।



(৩). একমাত্র মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছ থেকেই যাকাত করা আদায় করা হত যা মোট সম্পত্তির আড়াই অংশ রাষ্ট্রকে দিতে হতো । এই আদায়কৃত অংশ থেকে মসজিদ স্মৃতিসৌধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করা হতো এবং পন্ডিত দরিদ্র ব্যক্তিদের ভ্রাতা প্রদান করা হতো ।

(৪). একমাত্র অমুসলমান ব্যক্তিদের কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় করা হতো ৷ বিষয় সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য এই কর আদায় করা হতো। তবে নারী,শিশু,ভিক্ষুক সন্ন্যাসীদের কাছ থেকে কর আদায় করা হত না ৷ তবে আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী জিজিয়া করের শ্রেণীবিন্যাস ছিল ৷

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟