দ্বাদশ শতকের নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো

দ্বাদশ শতকের নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো

দ্বাদশ শতকের নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো

দ্বাদশ শতকের নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো

দ্বাদশ শতকের শুরুতে লাতিন ইউরোপের রাজনীতি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকলেও শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নিত্য নতুন উন্মেষের ফলে এক অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। পরবর্তী একশো বছরের বেশি সময় ধরে খ্রিস্টান জগতের সর্বত্র শোনা গিয়েছিল মুক্তমনের এবং মানব মহিমার বিজয় ঘোষণা। এরই স্বাভাবিক ফল হিসাবে সাহিত্য দর্শন এবং ধর্মশাস্ত্রে দেখা দিয়েছিল অভাবনীয় পরিবর্তন। এই সময়ের তত্ত্ব চিন্তা, কাব্য ও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার পরিধি শুধু প্রসারিত হয়নি, ফুলে ফলে পল্লবিত হয়ে উঠেছিল। দ্বাদশ শতকের ভাব জগতের এই আত্মপ্রকাশ পূর্ণতার রূপ ধারণ করেছিল প্রাচ্য দেশগুলির সমৃদ্ধ সভ্যতার ভাব সম্মিলনের ফলে। এই নতুন চিন্তা ভাবসম্পদের আচ্ছাদন সম্ভব হয়েছিল ইউরোপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদার ও মুক্ত পরিবেশের জন্য। তাছাড়া জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার বিস্তার এবং বিকিরণ সহজতর হয়ে উঠেছিল বেশ কিছু পণ্ডিতের সার্বিক সহায়তায়। এই সমস্ত পণ্ডিতদের অনেকে হয়ে উঠেছিলেন পরবর্তীকালের সমাজ ও রীতিনীতির ভাষ্যকার হিসাবে, আবার কেউ হয়েছিলেন কাব্যলক্ষ্মীর আশীর্বাদধন্য ।

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

প্রকৃতপক্ষে দ্বাদশ শতাব্দীর নবজাগরণের পথ প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে মঠের শিক্ষা কেন্দ্র ও সন্ন্যাসীদের দান ছিল অবিস্মরণীয়। প্রাচীন জটিল লাতিন ভাষার পরিবর্তে সহজভাবে মনের ভাব প্রকাশের জন্য এই সব সন্ন্যাসীগণই সর্বপ্রথম সকলের বোধগম্য লাতিন ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করেন। কাব্যসাহিত্যের ক্ষেত্রে লাতিন ভাষার এই নতুন বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে প্রকাশ পায়। যে ভাষা এতদিন গভীর পাণ্ডিত্যের অবলম্বন হয়ে সীমিত পরিসরে, সংকীর্ণ অস্তিত্ব নিয়ে টিকেছিল তা ক্রমশ প্রাণবন্ত এবং নমনীয় হয়ে উঠেছিল।

ভাববাদের ক্ষেত্রে নব চিন্তাধারার আত্মপ্রকাশ : নবম ও দশম শতাব্দীতে ইউরোপে ধর্মশাস্ত্র সম্পর্কে কিছু কিছু প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করলে দ্বাদশ শতাব্দীতেই প্রচলিত ধর্ম সম্পর্কে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠার উপযুক্ত পটভূমিকা তৈরি হয়। এই যুক্তিবাদের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন তুরের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বেরেঙ্গার। তাঁরই আদর্শে প্রভাবিত তাঁর শিষ্য শিষ্যারা যুক্তির দ্বারা ধর্মশাস্ত্র বিচার করতে শুরু করলে ধর্মীয় আদালত তাদের কণ্ঠ চিরদিনের মতো বন্ধ করার চেষ্টা করে। অভাবনীয় কষ্টের মধ্যে দিয়েও তরুণ এবং বুদ্ধিজীবীগণ সত্যের মহিমাকে ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না।

শিক্ষা বিস্তারের কতকগুলি প্রতিষ্ঠান : দ্বাদশ শতকে নবতর শিক্ষার প্রসারে চার্চ সংলগ্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি ছিল এর মূল পৃষ্ঠপোষক। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাপদ্ধতি ছিল খুবই উন্নতমানের এবং মুসলিম জগতেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন চিন্তানায়ক দ্বাদশ শতকে মননশীলতার মধ্যে বৈচিত্র্যের সন্ধান দিয়েছেন যাদের মধ্যে, বার্নার্ড, উইলিয়াম, অ্যালেন দ্য ভিলের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অ্যালেন দ্য ভিলের চিন্তাধারা পরবর্তী যুগের সাহিত্যিকদের রচনার উপর গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ দ্বাদশ শতকের নবজাগরণের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟