ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি ইউরোপে কি প্রভাব ফেলেছিল তা পর্যালোচনা কর ?

ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি ইউরোপে কি প্রভাব ফেলেছিল তা পর্যালোচনা কর ?

 ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি ইউরোপে কি প্রভাব ফেলেছিল তা পর্যালোচনা কর ?


ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি ইউরোপে কি প্রভাব ফেলেছিল তা পর্যালোচনা কর ?


ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি ইউরোপে কি প্রভাব ফেলেছিল তা পর্যালোচনা কর ?

সপ্তদশ শতক ছিল ইউরোপের ইতিহাসের বহু ঘটনার স্বাক্ষর ৷ একাধিক দ্বন্দ্ব যুদ্ধে ধর্মস্রিত ইউরোপের জনমানুষের পরস্পরের প্রতিবিদ্বেষ সেই সঙ্গে ইউরোপীয় সভ্যতার বিবর্তন এক কথায় বহু ঘটনার বহুল একটি শতক ৷ আর এই সকল প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা বিষয়গুলির মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ১৬১৮ থেকে ৪৮ অর্থাৎ দীর্ঘ ৩০ বছরের যুদ্ধ ক্লান্ত ইউরোপীয় শক্তিগুলির শান্তির লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত করেন ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি বা পিস অফ ওয়েস্টফেলিয়া, সপ্তদশ শতকে ইউরোপের রক্ত স্নান লক্ষ্য করে ঐতিহাসিক জর্জ ক্লাস বলেন সততা শতকের ইউরোপীয় সভ্যতা ছিল সামরিক সভ্যতা, ইউরোপের সামগ্রিক লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সিস বেকন তার রচনা তে যুদ্ধকে রাষ্ট্রের পক্ষে একটি শারীরিক অসুস্থতার মতো সাধারণ বিষয় বলে অভিহিত করে ৷ তবে ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপীয় রাষ্ট্র নায়কদের বোধ হয় হল রণকান্ত সফলতা সত্য কিন্তু শেষ সত্য নয় আর এই বোধ অধ্যায় থেকেই সম্পাদিত হল ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি । এই শান্তি চুক্তি প্রসঙ্গে বলা যায়," The peace of westophelia is land mark in the devolopment of state syestem."



৩০ বছরব্যাপী যে নির্মম যুদ্ধ ইউরোপীয় মহাদেশকে রক্তশিক্ত করেছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো বহেশিয়ার যুদ্ধ(১৬১৮-২৩), ডেনদের যুদ্ধ(১৬৩০-৩৫) এই দীর্ঘ যুদ্ধ গুলির পেছনে একাধিক কারণ বর্তমান ছিল ৷যেমন ইউরোপের সর্বশক্তিমান রাষ্ট্রের আধিপত্যরা নতুন ক্ষমতাও মর্যাদার প্রত্যাশা এই এতটাই মত্ত হয়ে উঠেছিল যে তারা সর্বদাই নতুন রাজা প্রজা সকলেই নতুন শক্তি অর্জনের চেষ্টায় চালিত হতে থাকে ৷



১৫৫৬ সালে আপসবাগের সন্ধি সাময়িকভাবে ধর্মীয় যুদ্ধের অবসান ঘটালেও ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান শাসকেরা নিজ নিজ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সদা সচেষ্ট থাকায় যুদ্ধ একপ্রকার অসম্ভভাবিক হয়ে পড়ে ৷ ফ্রান্সের চতুর্থ হেনরি স্পেনের সঙ্গে লড়াইয়ের অগ্রসর হয় ৷ নেদারল্যান্ড থেকেও সংঘাত শুরু হয় । তবে রণক্লান্ত ইউরোপীয় শক্তিশালী একটি পর্যায়ে যুদ্ধ অবসানের কথা ঘোষণা করে শান্তি প্রতিষ্ঠাতে শান্তি চুক্তির দিকে অগ্রসর হয় ৷ আসলে এই শান্তি চুক্তি ছিল দুটি পৃথক পৃথক চুক্তি সম্মেলিত রূপ এই দুটি হল হ্যাবসবার্গের সঙ্গে মুনাস্টারের ফ্রান্সের সন্ধি ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সুইডেনের শান্তি ৷ এই চুক্তি গুলি ইতিহাসে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি নামে পরিচিত ৷



এই আলোচিত ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তির মাধ্যমে একাধিক সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছিল ৷ ইউরোপীয় ও রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে এই চুক্তির মাধ্যমে যে সকল সমস্যার সমাধান হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রজাদের ধর্মচরণে স্বাধীনতা স্বীকৃত ৷ এই চুক্তিতে স্পষ্টভাবে রাজাদের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি সহনশীলতা হতে বলা হয়েছিল ৷ একটি ইতিবাচক দিক হল ধর্মচারণে স্বাধীনতা কেবলমাত্র রাজাদের এই ত্রুটি শুধরে নিয়েও ওয়েস্ট ফেলিয়া ধর্মচরণের অধিকার প্রদান করে ।



এই চুক্তি সর্বপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ইউরোপীয় অধিকাংশ রাষ্ট্র থেকে ধর্মীয় নিপীড়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ এখন হতে ইউরোপীয় রাষ্ট্র ধর্ম এবং কূটনীতিতে পৃথক পৃথকভাবে পরিচালিত করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ ওয়েস্টফেলিয়া শাসকদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক আক্রমণ হতে সুরক্ষা প্রদান এই উদ্দেশ্যে জার্মান শাসকদের নিজ নিজ রাজ্যের প্রায় সারমভৌম শাসক রুপে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় । তাদের নিজ নিজ রাজ্যে কর আদায়ের অধিকার দেওয়া হয় ৷ তারা নিজ নিজ সৈন্যবাহিনী গঠন করতে পারবে এবং অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কুননৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।



ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি দ্বারা সমগ্র ইউরোপে এক নতুন যুগের সৃষ্টি হয়েছিল ৷ দীর্ঘকালীন ক্যাথলিক প্রোটেস্টান দ্বন্দ্বে অবসানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি হয় । এই শান্তি চুক্তি ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টানদের পৃথক পৃথক আঞ্চলিক সীমারেখায় সুনির্দিষ্ট করে দেয় প্রোটেস্টানরা মূলত দক্ষিণে অবস্থান করতে থাকে এবং ক্যাথলিকরা থাকে পশ্চিমে ৷ চার্চের সম্পত্তি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে সংঘাত ও ধর্মান্তরিত কারণ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তেজনা প্রশমিত হয় । ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মধ্যে দিয়ে রোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংস বা অবক্ষয়ের সুত্রপাত ঘটে সম্রাট নিজের ছায়ায় কায়াহীন অবস্থার দিকে টিকে থাকে ৷



প্রথাগতভাবে ঐতিহাসিকরা দীর্ঘদিন ধরে মনে করছেন যে ওয়েস্টফেলিয়া ইউরোপের আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পত্তন ঘটিয়েছিলেন ৷ এই শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ ঘটেছিল ৷ সপ্তদশ শতকের এই নীতি স্পেন পর্তুগাল ফ্রান্স ইংল্যান্ড প্রভৃতি রাষ্ট্র মেনে চলতে শুরু করেন । ওয়েস্টফেলিয়ার মধ্যে ইউরোপের সমাজে এক সুদুর প্রসারী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ৷ এককেন্দ্রিক সংস্কৃতিক পরিমন্ডলের অবসান ঘটিয়ে এখন হতে ব্যক্তির ধর্মচরণের প্রেক্ষাপট প্রস্তুত হয় ৷ এই সময় ওলন্দাজ মানবতাবাদী হিউগ্রো গেনটিমাসের বিখ্যাত গ্রন্থ"On the lansware and peace" আন্তর্জাতিক আইন তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ৷




ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তির প্রভাব এক একটি দেশে এক একভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল ৷ ১৬৪৮ সালের পর স্পেনের দ্রুত অবনতি ঘটেছিল ৷ আবার ফ্রান্সের উত্থানের ক্ষেত্রে ওয়েস্টফেলিয়ার গুরুত্ব ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ৷ অন্যদিকে সুইডেন এই চুক্তির পর ক্ষমতার শিষ্য বিন্দুতে পৌঁছাতে সফল হয়েছিল ৷ কিন্তু অস্ট্রিয়ার শক্তি ১৬৪৮ সালের পর দ্রুত হ্রাস পায় ৷ এই চুক্তির ফলে ফ্রান্স লাভবান হয়েছিল সবথেকে বেশি। এখন হতে তাদের সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছিল সফলতা লাভ করেছিল ৷ ফ্রান্সের এই দুই শক্তি স্পেন ও অস্ট্রিয়ার ধ্বংসের পথ প্রস্তুত করা হয়েছিল ৷ এই শান্তি চুক্তি দ্বারা এই চুক্তির দ্বারা ফ্রান্স লাভ করেছিল মেৎস, ভার্দুন,সান্টগা, প্রোশাক ও ফিলিপ নামক দুটি রাস্তা ও দশটি শহর । যুদ্ধ শেষে অপর একটি বিজয়ী সুইডেন নানাভাবে উপকৃত হয়েছিল ৷



শান্তি চুক্তিতে ফ্রান্স ও সুইডেন বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছিল ঠিক তবে স্পেনের অর্থনৈতিক দুর্গতি বিশেষভাবে পরিস্ফুটিত হয়েছিল ৷ আমেরিকা থেকে মূল্যবান ধাতু আসার ফলে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্পেন ছিল সর্বাপেক্ষা ধনী দেশ কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তীকালে স্পেন ক্রমশ অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যায় ৷ ঐতিহাসিকরা প্রায় সকলে একটি বিষয়ে একমত যে ৩০ বছরের যুদ্ধে প্রভাব ইউরোপের নানা ভাবে আনগ্রিক সৃষ্টি করেছে । গুস্তভ ফ্রেস্টিক বলেছেন রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দিক থেকে জার্মানি হয়েছিল বিধ্বস্ত ৷ দীর্ঘকালীন যুদ্ধ ও লুন্ঠন জার্মানির বিভিন্ন অংশকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল ৷ জনসংখ্যা দ্রুত ও হ্রাস পেয়েছিল, কিউডরকরের মতে জার্মানির জনসংখ্যা ৩০ থেকে ৪০% প্রানহানি হয়েছিল ৷ জার্মানির বোহেমিয়া অঞ্চলের জনসংখ্যা ৩০ লক্ষ্য থেকে ৪ লক্ষে নেমে এসেছিল ৷ জার্মানির 35000 গ্রামের মধ্যে ২৯ টি গ্রাম পরিতৃপ্ত হয়ে পড়েছিল ৷



শহরগুলির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল অপরিসীম ৷ যুদ্ধের পূর্বে আবসবার্গের লোক সংখ্যা যেখানে ছিল ৪৮ হাজার ১৬৫০ শে তা কমে দাড়ায় ২১ হাজার ৷ জার্মানিতে এই যুদ্ধের বিভক্ত ফুটিয়ে তুলেছেন বিখ্যাত নাট্যকার রেক্ট তার" Mother cowrage and his childreen" নাটকের মধ্য দিয়ে ৷ নাটকের মধ্যে ইংল্যান্ড ফ্রান্স যে রুপ সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্র গড়ে তুলে দুটো উন্নয়নের পথে পরিচালিত হয়েছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানিকে সেই রূপ সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে প্রায় ১০০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল । জার্মানির অর্থনৈতিক পরবর্তী 100 বছর পশ্চাৎপদ হয়েছিল ৷ তাই একথা বলা অযৌক্তিক হবে না ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির দ্বারা স্পে, ফ্রান্স সুইডেন বিশেষভাবে লাভবান হলেও জার্মানি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ৷




উপরিয়ক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় ওয়েস্টফিলিয়ার শান্তি চুক্তি আধুনিক ইউরোপের অন্যতম ঘটনা ছিল এর ফলে ধর্মীয় মীমাংসা রাষ্ট্রগুলির মানচিত্র নির্ধারণ,নতুন আইন ব্যবস্থা, নানা ধারার প্রশিক্ষণ, পোপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি , একাধিক রাষ্ট্রে স্বাধীনতা লাভ, স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশগুলিতে জাতীয়তাবাদের বিকাশ যেমন লক্ষ্য করা যায় তেমনি পাশাপাশি জার্মানির মত রাষ্ট্রবিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তথ্যও বলা যায় ৷ ইউরোপে শান্তি এবং এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অপর রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণ আর্থিক যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পিস অফ ওয়েস্টফেলিয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷


 ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তির শর্ত


1618 থেকে 1688 পর্যন্ত ত্রিশ বছরের সংঘাত ইউরোপকে ক্লান্ত ও রক্তাক্ত করে রেখেছিল । ফলস্বরূপ, ইউরোপ শান্তি অনুভব করতে শুরু করে । আর জনগণের এই সম্মিলিত দাবির কাছে রাষ্ট্রনায়করা নথি স্বীকার করতে বাধ্য হয় ফলে সাক্ষরিত হয় ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি বা "পিস অফ ওয়েস্টফেলিয়া" । প্রকৃতপক্ষে, বিশাল হত্যাকাণ্ডের ফলে ইউরোপীয় যুদ্ধকালীন নেতাদের মধ্যে বিলম্বিত বোধ হয় ঘটে যে রণ রক্ত সফলতা সত্য কিন্তু শেষ সত্য নয় । এই শান্তি চুক্তি প্রসঙ্গে ঐতিহাসিকরা মন্তব্য করেন যে, "ওয়েস্টফালিয়ার শান্তি রাষ্ট্র ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী ৷"( the peace of Westphalia is landmark in the development of state system.)


ওয়েস্ট্রিয়ার সাথে সুইডেনের চুক্তি এবং হ্যারসবার্গের সাথে মোনাস্টিরের ফ্রান্সের চুক্তি, এই দুই চুক্তিকে একত্রে ওয়েস্টফালিয়ার  চুক্তি নামে পরিচিত । এই চুক্তির মধ্য দিয়ে যে শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো - প্রজাদের ধর্ম চরণে স্বীকৃতি চুক্তি । এই চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বল রাজাদের বলা হয়েছিল পূজাতে ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি সহনশীলতা হয়ে থাকতে । এই স্বাধীনতার ফলস্বরূপ জার্মান শাসকরা তাদের পৃথক রাজ্যে আধা-সার্বভৌম শাসক হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল । স্থির হয় জার্মান রাজ্যগুলির শাসকরা নিজ নিজ অঞ্চল থেকে কর আদায় করতে পারবে এবং তারা নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করতে পারে ৷

ওয়েস্টফালিয়ার শান্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল প্রোটেস্ট্যান্ট এবং ক্যাথলিকদের মধ্যে অঞ্চলের বিভাজন, যেখানে প্রোটেস্ট্যান্টরা বেশিরভাগই দক্ষিণে এবং ক্যাথলিকরা পশ্চিমে অবস্থান করতো । এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গির্জাকে সম্পত্তি দেওয়া হয়েছিল । রাষ্ট্রের সাথে চার্চের বিরোধ এর ফলে যথেষ্ট প্রশমিত হয়েছিল । এই চুক্তির ফলে রোমান সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয় । সম্রাট নিজেই ছায়ার মত কাহিন অবস্থায় টিকে থাকে । এই শান্তি চুক্তি আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে ছিল । ষোড়শ শতাব্দীতে স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশ এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল । সমসাময়িক ইউরোপে ঘটতে থাকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে একটি ছিল একটি । এই শান্তি চুক্তির তাৎপর্য ছিল বিশাল কারণ এটি ধর্মীয় মীমাংসা,রাষ্ট্রগুলির মানচিত্র নির্ধারণ,নতুন আইন ব্যবস্থার প্রবর্তন,নবধারায় প্রশাসন,পোপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি,একাধিক রাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভ, দেশে দেশে জাতীয়তাবাদের বিকাশ লক্ষ্য করা যায় ।


💢সম্ভাব্য প্রশ্নঃ-

  1. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মূল বৈশিষ্ট্য
  2. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি কেন করা হয়েছিল
  3. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির তাৎপর্য
  4. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি কোন ধরনের চুক্তি ছিল আলোচনা কর
  5. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মূল বৈশিষ্ট্য
  6. ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি pdf

(৪). ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟