পঞ্চশীল নীতি সম্পর্কে টীকা লেখ অথবা নেহেরুর পঞ্চশীল নীতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও পঞ্চশীল চুক্তির (১৯৫০)মূলনীতি গুলি কি ছিল?
![]() |
প্রধানমন্ত্রীর নেহেরু বিশ্বশান্তি রক্ষার্থে সম্রাট অশোকের আদর্শ ও ঐতিহ্য অনুসারে যে পাঁচটি নীতি ঘোষণা করেছিলেন সেগুলি পঞ্চশীল নীতি নামে পরিচিত ৷ এই নীতি গুলি ছিল (১).দুইটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক মর্যাদা যাপন (২). একে অপরকে আক্রমণ না করা (৩). একে অপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা (৪). পরস্পরকে সমমর্যাদা ও পারস্পারিক সহযোগিতা প্রদান (৫). গণতন্ত্র ও সাম্যবাদ নির্বিশেষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ৷
আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত এগুলি হল পরস্পরের ভৌগোলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমিকতার প্রতি শ্রদ্ধা , অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ না করা, সাম্য পারস্পরিক সুবিধাবাদ, শান্তির পূর্ণ সহবাস্তান, ভারত এর নীতির ভিত্তিতে প্রতিবেশীর দেশ তথা চীন , পাকিস্তান,বাংলাদেশ,নেপাল,শ্রীলংকা প্রভৃতি রাষ্ট্রের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থির করে চলেছেন ৷ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর প্রভূত স্থাপনের চেষ্টা করেননি ।
তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে ভারতের সমর্থন পঞ্চশীল নীতি ধাক্কা খায় ৷ ভারতকে শান্তিপূর্ণ পথে ওই সমস্যা সমাধানের সাহায্য করতে বললেও ভারত তাতে সাড়া দেননি ৷