পঞ্চশীল নীতি সম্পর্কে টীকা লেখ অথবা নেহেরুর পঞ্চশীল নীতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

পঞ্চশীল নীতি সম্পর্কে টীকা লেখ অথবা নেহেরুর পঞ্চশীল নীতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

পঞ্চশীল নীতি সম্পর্কে টীকা লেখ অথবা নেহেরুর পঞ্চশীল নীতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও পঞ্চশীল চুক্তির (১৯৫০)মূলনীতি গুলি কি ছিল?

পঞ্চশীল নীতি সম্পর্কে টীকা লেখ অথবা নেহেরুর পঞ্চশীল নীতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও

ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এক প্রধান অঙ্গ ছিল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এই নীতি মেনে 1945 খ্রিস্টাব্দে চীনের প্রধানমন্ত্রী চো এন লাই দ্বিতীয়বার ভারতে এলেন ভারত ও চীনের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যে পাঁচটি নীতি স্থির হয় তা পঞ্চশীল নীতি নামে পরিচিত ৷

 

প্রধানমন্ত্রীর নেহেরু বিশ্বশান্তি রক্ষার্থে সম্রাট অশোকের আদর্শ ও ঐতিহ্য অনুসারে যে পাঁচটি নীতি ঘোষণা করেছিলেন সেগুলি পঞ্চশীল নীতি নামে পরিচিত ৷ এই নীতি গুলি ছিল (১).দুইটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক মর্যাদা যাপন (২). একে অপরকে আক্রমণ না করা (৩). একে অপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা (৪). পরস্পরকে সমমর্যাদা ও পারস্পারিক সহযোগিতা প্রদান (৫). গণতন্ত্র ও সাম্যবাদ নির্বিশেষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ৷


আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত এগুলি হল পরস্পরের ভৌগোলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমিকতার প্রতি শ্রদ্ধা , অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ না করা, সাম্য পারস্পরিক সুবিধাবাদ, শান্তির পূর্ণ সহবাস্তান, ভারত এর নীতির ভিত্তিতে প্রতিবেশীর দেশ তথা চীন , পাকিস্তান,বাংলাদেশ,নেপাল,শ্রীলংকা প্রভৃতি রাষ্ট্রের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থির করে চলেছেন ৷ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর প্রভূত স্থাপনের চেষ্টা করেননি ।


তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে ভারতের সমর্থন পঞ্চশীল নীতি ধাক্কা খায় ৷ ভারতকে শান্তিপূর্ণ পথে ওই সমস্যা সমাধানের সাহায্য করতে বললেও ভারত তাতে সাড়া দেননি ৷


About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟