লুথার কি পার্থিব শাসকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল

লুথার কি পার্থিব শাসকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল

 লুথার কি পার্থিব শাসকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল

লুথার কি পার্থিব শাসকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল

লুথার চার্চ কে কোন পৃথক মর্যাদা বা ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না ৷ আর এই মনোভাব থেকেই তিনি যাজক শ্রেণীর পার্থিব বিষয়ের উপর আইনগত অধিকারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ৷ কেননা চার্চ বলতে তিনি বুঝতেন জনগণের বিশ্বাসী ভক্তদের সমাবেশ ৷ তাই চার্চ কোনোরূপ পৃথক আইনগত অধিকার ভোগ করতে পারেনা ৷ লুথার আরও বলেছিলেন যে ধর্মীয় রাজ্যের সরকার হলো ভগবানের দক্ষিণ হস্ত । যার সঙ্গে প্রার্থীর জগতের বিষয়ে কোনো রকম সম্পর্ক নেই ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

লুথার মনে করতেন খ্রিস্টানরা দুটি রাজ্যের অধিবাসী ৷ খ্রিস্টীয় রাজ্য এবং প্রার্থীব রাজ্য তিনি প্রথম রাজ্যটিকে চার্চের সঙ্গে সম্পর্কিত করেছেন এবং পরেরটিকে জাগতিক কর্তৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত করেছেন ৷ রাজ্যকে ভগবানের নির্দেশে শাসিত বলে দাবি করেছেন ৷ তাই সকল দমন মুলক ক্ষমতা প্রার্থীর কর্তৃত্বে থাকা উচিত আর এই পার্থিব ধারণা অনুযায়ী কোন কর্তৃত্ব বা ক্ষমতায় থাকা উচিত নয় ‌ পোপ ও বিষপদের ৷ পোপ বা চার্চের তাই কোনরূপ পার্থিব আইনগত অধিকারের দাবি করা যাবতীয় কর্তৃত্বের ক্ষমতায় হস্তগত করা ৷

লুথার তার বক্তৃতায় দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে পার্থিব কর্তৃত্বকে ভগবানই শয়তানদের শাস্তি দানের জন্য এবং সাধুদের রক্ষা করার জন্য নির্দেশ দিয়ে পাঠান ৷ তাই তাকে সেই কর্তব্য স্বাধীনভাবে পালন করতে দেওয়া উচিত ৷ সেখানে কোনরকম বাধা সৃষ্টি করা উচিত নয় । তাতে উপবিষপ,যাজক,সন্ন্যাসী যেই ক্ষতিগ্রস্ত হোক না কেন লুথার নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেন ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদের অধিকার কে সুরক্ষিত করতে ৷ তাই লুথার প্রার্থিব জগতের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি ৷

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ লুথার কি পার্থিব শাসকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟