সন্ত্রাসবাদ কি? আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া!

 সন্ত্রাসবাদ কি? আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া আলোচনা কর বা,সন্ত্রাসবাদ বলতে কি বোঝ? আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উপর যথাসম্ভব আলোকপাত কর।

সন্ত্রাসবাদ কি? আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া আলোচনা কর



ন্ত্রাসবাদ একটি অটিন ধারণা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্য অনেক ধারণার মত এটির একটি সর্বজন গ্রাহ্য সংজ্ঞা দেওয়া কঠিন। সন্ত্রাসবাদ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও রাষ্ট্রের কাছে একই বা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থ বিভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে তা নির্ভর করে সেই জনগোষ্ঠী বা রাষ্ট্র নিজেদের লক্ষা পূরণের জন্য বাবযার করছে কিনা সন্ত্রাসবাদকে বলি হন্দে কিনা উদাহরণস্বরূপ ইজরায়েলের চোখে ফাতেহা, হামাস ইত্যাদি সংগঠন সন্ত্রাসবাদি কিন্তু এই সংগঠনগুলি প্যালেস্টাইনের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামের হাতিয়ার বলে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই একটি গোষ্ঠীর কাছে এটি সমর্থন পাবে ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর কাছে ধিকৃত। সন্ত্রাসবাদের এই বায়োবীয় আকার এটি সম্পর্কে সুবিন্যাস্ত সংজ্ঞা তৈরীর প্রচেষ্টা কে প্রতিহত করেছে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ কথাটির যথেচ্ছ ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছে তবুও সাধারণভাবে বলা যায় যে সন্ত্রাসবাদ সুসংহত ভাবে ভীতিপ্রদর্শন হিংসাশ্রয়ী কার্যকলাপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে মনস্তাত্বিক লড়াই এর একটি সুসংহত হাতিয়ার। এর আসল লক্ষা হল ভীতিপ্রদর্শন বা হিংসার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে নিজেদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁদানো। অনেকের মতে মন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাতিরেকেও বাবযার করা হয় 1973 সহল ইউএনও'র এড হক কমিটি অন ইন্টার্নেশনাল টেরোরিজম তার সুপারিশে উল্লেখ করেছে যে সব ধরণের বিদ্রোহ সন্ত্রাসবাদ নয়। এই সুপারিশের প্রেক্ষাপট হলো ভৎকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতি এশিয়া আস্তিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশ গুলির উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অনেক সময় হিংদাল্লাক গ্রহণ করেছে, কিক্ত এই স্বাধীনতা আন্দোলন প্রলিকে সন্ত্রাসবাদের আন্দোলন বলা যায়না। বর্তমানে বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন। আন্তর্জাতিক সমাজ বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সমস্যা উঞ্চায়নের সমস্যা এবং সর্বোপরি সন্ত্রাসবাদের সমস্যা এই সমস্যা মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সাথে যুক্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক স্বরে গড়ে ওঠা ইউ.এন.ও যার মূল লক্ষা হলো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার। মন্ত্রানবাদ আন্তর্জাতিক শারি ও নিরাপত্তা রক্ষার পক্ষে সবচেয়ে বিপদজনক। বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র একটি গুরুতর সমস্যাই নয় স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর আঘাত শুধুমাত্র মানবতাকে নয় আতিরাষ্ট্রের কাঠানোর ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন কারণে সন্ত্রাসবাদ অত্যয় সংগঠিত বলে আতি রাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ৷

আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন

১৯৬৮ সালের পূর্বে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সন্ত্রাসবাদি ঘটনার অস্তিত্ব থাকলেও তিনটি বিশেষ কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ বিপদজনক সমস্যা হয়ে উঠেছে। এগুলি হল বায়ু পথে ভ্রমণের সুযোগ বিস্তার, সারা বিশ্বব্যাপী দূরদর্শন মাধ্যমে সংবাদ প্রচার এবং ব্যাপক সাধারণ রাজনৈতিক মতাদর্শগত স্বার্থ। এই উপাদানগুলির সম্মিলিত প্রভাবে সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক সীমানা অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক রূপ পরিগ্রহ করেছে। বায়ু পথে ভ্রমণের সুযোগ সন্ত্রাসবাদীরা অবাধে বিভিন্ন দেশও অঞ্চলে ভ্রমণে করতে পারে বিমান ছিনতাই করে নিজেদের দাবি মেনে নেয়াতে বিভিন্ন রাষ্ট্রকে বাধা করার নজিরও বর্তমান। বিশ্বব্যাপী সংবাদ সম্প্রচারে দুযোগ সন্ত্রাসবাদীরা নানা দুঃসাহসিক এই ঘটনার মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের সুযোগ পেয়েছে।


তবে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে বিশ্বায়ন সন্ত্রাসবাদীদের টেকনিক্যাল শক্তি-সামর্থ্য বৃদ্ধি করেছে এবং সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক চরিত্র গ্রহণ করেছে।


বিংশ শতকের শেষ দশক গুলিতে এবং একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের আমাদের রাষ্ট্র মন্ত্রাসবাদের ন্যা রূপ দেখেছে। হাজার ১৯৯১ সালে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা পতনের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একমেরু প্রক্রিয়া স্বরান্বিত করার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নতুন আঙ্গিকে উপস্থিত হয়েছে। বিগত 2001 সালের 11 ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ওপর সন্ত্রাসবাদি আক্রমণ মারা দুনিয়ার মানুষকে স্তম্বিত করেছে কারণ এই সংস্থার বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত হওয়া দয়েও সন্ত্রাসবাদি আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়ার পর থেকেই এর বিপদ সম্পর্কে একটি সামগ্রিক চিত্তা দানা বধিতে শুরু করে এছাড়া সাম্প্রতিককালে ভারত আক্রমণের শিকার হয়েছে সন্ত্রাসবাদ মনোভাব আরো জোরদার হয়েছে। বর্তমানে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমী রাষ্ট্র গুলির অভিজ্ঞতার পেক্ষাপটে ওসামা বিন লাদেন পরিচালিত আল-কাবেদা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদি সংগঠন বালম্বি মৃত্যু হয়েছিস পাশাপাশি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম দীমান্ত অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদি সংগঠন গুলির আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে অত্যন্ত বিপদজনক সংগঠন দেখা দিয়েদিল এদাড়া আইএসআইএম আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জাতীয় আন্তর্জাতিক সমাজের যথেষ্ঠ চিত্তার কারণ। এই


সংগঠনের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ কিছু কিছু ক্ষোয় সহমতের ভিডিতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করলেও আন্তর্জাতিক সমাজের অনেক ক্ষেত্রেই সকল রাষ্ট্রের মিলিত উদ্যোগে ঘাটতি রযেছে।


যেহেতু সন্ত্রাসবাদি সংগঠনের নিজস্ব কোন রাষ্ট্র নেই অর্থাৎ এর বিরুদ্ধে একক বা সমবেত প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেয়ে সমস্যা আছে। বাড়বে এটা অস্বীকার করা যায় না যে সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠীগুলির কোন স্বাধীন মার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ দেখে আসছে, না হলে এই সংগঠনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ আক্রমণ চালানো সম্ভব হয়না। ভারত প্রথম থেকেই সকল রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ ও সংগঠনের প্রতি কোনরকম সহানুভূতি প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। এখন যেহেতু আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমী দুনিয়ার অন্যানা দেশ সন্ত্রাসবাদি আক্রমণের সন্ধা হয়েছে তাই তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে। 2001 সালের 11 সেপ্টেম্বরের পর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যোষণা করে।


আমেরিকা-আফগানিস্তান ইরান-ইরাক উত্তর কোরিয়াকে দুর্বত রাষ্ট্র হিসেবে যোষণা করেন। আফগানিস্তান ও ইরাকে আক্রমণ চালায়। এক্ষেত্রে বৃটেনের মতো কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ভোটে যোগদান করে। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এই লড়াই এক নতুম আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির জন্ম দেয় যে পরিস্থিতি অনেক বেশি অস্থিতিশীল। সন্ত্রাসবাদ ও তার বিরুদ্ধে প্রথম বিশ্বের দেশ গুলির প্রতিক্রিয়া বা মন্ত্রাসবাদ দমনের প্রক্রিয়া এক নতুন ধরনের সাম্রাজ্যবাদের অন্ম দেয়। সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে আমেরিকা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ লাভ করে। পরিশেষে বলা যায় সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে মতবিরোধ থাকলেও এর বিপদ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমাজ অবহিত। বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সন্ত্রাসবাদ যে ভয়ঙ্কর বিপদ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। থেকে প্রতিষত করার জন্য প্রযোজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিশ্বায়ন। সন্ত্রাসবাদ কি? আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া!

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟