হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে লুই কসুথের ভূমিকা
লুই (1802-94) কসুথ ছিলেন ম্যাজিয়ার জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা কিন্তু উগ্রপ্রজাতন্ত্রী। ১৮৩৭ সালে অস্ট্রিয়ার সরকার এই আইন ব্যবসায়ী রাষ্ট্র নেতাকে তার উগ্র জাতীয়তাবাদী কার্য কলাপের জন্য বন্দি করেছিলেন। বন্দী হবার পর কসুথ চার বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন। বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং নিজের আদর্শ প্রচার করার জন্য একটি জাতীয়তাবাদ পত্রিকা প্রকাশ করেন। জাতীয়তাবাদের পক্ষে জোর চালানোর জন্য তিনি জনমত গঠন করেন। 18 প্রচারকার্য 1847 খ্রি: হাঙ্গেরি ডায়েটের (আইনসভার) সদস্য হন। 1848 খ্রি: ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্রান্সে বিপ্লব শুরু হওয়ার পরে কসুথও বিপ্লবী হয়ে ওঠে। তীব্র জালাময়ী বক্তৃতার দ্বারা তিনি হাঙ্গেরিতে জনগণের মধ্যে আশা আকাঙ্খা প্রসারিত করেন। এই সময় কসুথের বক্তৃতার হাজার হাজার কপি বিক্রয় হয়। তার বক্তৃতা শোনার জন্য অপেক্ষা করত বহু মানুষ।
আপনি চাইলে এগুলো পড়তে পারেন
1848খ্রি: 13ই মার্চ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার প্রিন্স মেটারনিখ পদত্যাগ করলে হাঙ্গেরি জাতীয়তাবাদীরা উৎসাহিত হন। হাঙ্গেরি বিপ্লবীরা সংবিধান সভা আহ্বান করে একটি খসড়া সংবিধান প্রনয়ন করেছিলেন। এই সংবিধানে দায়িত্বশীল মন্ত্রীসভা গঠন প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকার, করব্যবস্থায় সমতা, জাতীয়রক্ষী বাহিনী গঠন ইত্যাদি প্রস্তাব রাখা হয়। অস্ট্রিয়ার সম্রাট সংবিধান মেনে নেন নেন এবং একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। নতুন গনতান্ত্রিক মন্ত্রীসভা ভূমিদাস প্রথার অবসান, সামন্ততান্ত্রিক করএ বিচারালয়ের উচ্ছেদ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দান প্রভৃতি কয়েকটি প্রগতিশীল সংস্কার প্রবর্তন করেছিল।
সফল হয়নি। কারন হাঙ্গেরি দুরভাগ্য হল এই গনতান্ত্রিক বিপ্লব জার্মান জাতির লোহোঙ্গেরিতে ম্যাজিয়াররা জাম্যাজিয়ার আধিপত সার্ব, রুমানিয়া মেনে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রজাতন্ত্রী স্বাধীন হাঙ্গেরি চাননি। ম্যাজিয়ার ভাষা এইসব সংখ্যালঘুর ওপর চাপানো হয়েছিল তারা তা পছন্দ করেনি। বিপ্লব শুরু হলে সংখ্যালঘু মানুষেরা ভয় পেয়ে ছিল এব কারন জাতীয় লক্ষ্য সম্পর্কে জাতীয়তাবাদীদের কোনো ধারনাই ছিল না। অস্ট্রিয়ার জঙ্গী সরকার হাঙ্গেরি বিপ্লব দমন করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিল। কিন্তু জাতীয়তাবাদীরা আসা ছাড়েনি। কসুখের নেতৃত্বে তারা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে রাজধানী পুনঃ দখল করেছিল। 1849খ্রি: 14ই এপ্রিল জাতীয়তাবাদীরা রাজধানীতে প্রবেশ করে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডেকেছিল। পার্লামেন্ট সম্রাটকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং কসুথ কে হাঙ্গেরি গর্ভনর নিযুক্ত করেছিল।
হাঙ্গেরি নবনিযুক্ত গভর্নর লুই কসথ হাঙ্গেরিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষনা করেছিল কিন্তু এই স্বাধীন হাঙ্গেরি অস্তিত্ব মাত্র কয়েক সপ্তাহ টিকেছিল। জনমত প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবের পক্ষে চলে গিয়েছিল। হাঙ্গেরি বিপ্লবে দমনের জন্য রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাস সৈন্যবাহিনী পাঠিয়েছিল। অস্ট্রিয় এবং রাশিয়ার যৌথ আক্রমণের মুখে কসুথের আন্দোলন ভেঙে পড়ে। কসুথ তরস্কে পালিয়ে যান কিন্তু এরপরেও প্রায় 50 বছ ধরে কসথ ইংল্যান্ড ও আমেরিকা থেকে হাঙ্গেরি স্বাধীনতা সমর্থনে প্রচার চালিয়ে ছিলেন। সুতরাং হাঙ্গেরি জাতীয়তাব গলায় কম ভূমিকা সানস্বীকার্য