পিংপং কূটনীতি বলতে কী বোঝ? অথবা,পিংপং কূটনীতি কী
![]() |
১৯৪৩ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত, চিয়া কাইশেক রাষ্ট্রপতি হিসাবে চীনের সভাপতিত্ব করেছিলেন । চীন তখন একটি পুঁজিবাদী তন্ত্র ছিল এবং কুওমিনতাং রাজনৈতিক দল দায়িত্বে ছিল । চীন তখন পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের লড়াইয়ে লিপ্ত ছিল । সংঘর্ষে চিয়াং কাই-শেকের পরাজয়ের পর, মাও সেতুং ১ অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে চীনে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হন । চীন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, চিয়াং কাই-শেক ফরমৌজা নামক স্থানে চলে যান, এবার পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের সহায়তায় বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ফরমোজার অধিবাসীদের সংগঠিত করেন ও সেখানকার অধিবাসীরা তাকে প্রেসিডেন্ট বানান ।
চিয়াং কাই-শেক ফরমোসার নাম পরিবর্তন করে তাইওয়ান রাখার পর, পশ্চিমা বিশ্ব ১৯৫০ সালে ঘোষণা করে যে চীন এখন তাইওয়ানের একটি অংশ এবং এরপর থেকে জাতি পুঞ্জ দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবে । তাইওয়ান সরকারের প্রধান, আর ওখনই মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয় চীনের । এই অবস্থা চলতে থাকে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, ১৯৭১ সালে চীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস দল জাপানে খেলতে আসে । এইবার, ১৯৭১ সালে, চীনে একটি টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং চীনকে পরবর্তীতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল । দীর্ঘ বিরতির পর, আমেরিকান টেবিল টেনিস দল খেলার জন্য চীনে ফিরে আসে এবং খেলার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হয় ।
এই টেবিল টেনিস খেলার অপর নাম হল পিংপং খেলা, এজন্য কূটনৈতিক অঙ্গনে এটি, পিংপং কূটনৈতিক নামে পরিচিত, পিংপক কূটনীর্তি চীন মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মুক্ত করা হয় ৷ তারই ধারাবাহিকতায় এই দুই দেশ অভিনব পদ্ধতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।