ন্যাটো সম্পর্কে আলোচনা কর অথবা ন্যাটো সম্পর্কে টীকা লেখ
![]() |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ট্রুম্যান নীতি ও মার্শাল পরিকল্পনা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের ঠান্ডা লড়াইয়ের সূচনা হয় ৷ এরপর ইউরোপের পাঁচটি দেশ যথা,- বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও লাক্সেমবাগ ৫০ বছরের জন্য পারস্পরিক আত্মরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা মূলক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ৷ যা ব্রাসেলস চুক্তি নামে পরিচিত ৷ এই চুক্তিভূক্ত দেশগুলির পক্ষে সোভিয়েত অগ্রসন পত্তিহত করা সম্ভবপর ছিল না ৷ সকলেই মনে করে এই যুক্তির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হলে আরো শক্তিশালী হবে ৷ বার্লিন সংকট এই ধারণাকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করে ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৯ সালের ৪ই এপ্রিল ন্যাটো গঠন করা হয় ৷
১৯৪৮ সালের জুনে আমেরিকান সেনেটরে ভ্যান্ডেনবার্গ 'রিজোলিউশন অনুমোদনের মাধ্যমে স্থির হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজ স্বার্থের নন-আমেরিকান শক্তির সাথে যৌথ সামরিক চুক্তি করতে পারবে ৷ ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটনে বারোটি দেশের মধ্যে ন্যাটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই দেশগুলি হলো আমেরিকা, ইংল্যান্ড,বেলজিয়াম, কানাডা,ডেনমার্ক,ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, ইতালি নেদারল্যান্ড, নরওয়ে এবং পর্তুগাল পরে গ্রিস,তুরস্ক ও পশ্চিম জার্মানি চুক্তিতে যোগ দেন ৷
একটি প্রস্তাবনা সহ ১৪ টি শর্ত নিয়ে ন্যাটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ৷ উপস্থাপনায় বলা হয়েছিল স্বাক্ষরকারী দেশগুলি জাতিপুঞ্জের সনদের আদর্শ ও নীতি মেনে চলবে । তারা শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে স্থীর হয় যে চুক্তিবদ্ধ কোন দেশ বৈদেশিক শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হলে সকলে যৌথভাবে সেই আক্রমণ প্রতিহত করবে ৷স্থির হয় যে পারস্পারিক আর্থিক সাহায্য ও সাহায্যের মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতিতে সচেষ্ট হবে।
ন্যাটোর সদস্যরা ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সর্বদা ঐতিহ্য আদর্শগত মিল ছিল না ইতালির জার্মানির বিরুদ্ধে অন্যান্য সদস্যরা সর্বদাই সংগ্রামরত ছিল ন্যাটোর চুক্তিপত্রে যৌথ নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বাস্তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল সর্বেসর্বা ৷ ন্যাটো চুক্তি দ্বারা ইউরোপে সোভিয়ত অগ্রসর অনেকটাই বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল ৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলির অর্থনৈতিক উন্নতি ও অনেকটাই সাধিত হয়েছিল ও ন্যাটোর প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল ৷