সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা কর

সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা কর

সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা কর


সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা কর



সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য 


প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিকরা সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ৷ মূলত মিশরীয়, মেসোপটেমীয়র সাথে সিন্ধু সভ্যতার বাণিজ্য চলত ৷


সিন্ধু সভ্যতার যুগে পনি নামে এক বাণিজ্য শ্রেণী গড়ে উঠেছিল ৷ এরা শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয় দেশের বাইরেও ব্যবসা-বাণিজ্য চালাত । ঐতিহাসিক গর্ডন চাইল্ড বলেছেন সিন্ধু সভ্যতার যুগে টাইগ্রিস ও ইউফেট্রিস নদী অতিক্রম করেও ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতো ৷ গুজরাটের লোথালে একটি সমুদ্র বন্দর অবস্থিত হয়েছিল ৷ যা থেকে মনে করা হয় জলপথে, অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ৷ স্থলপথে দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসা চলতো ।


সিন্ধু ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে কাপড়,তুলো,মণিমুক্তা হাতির দাঁত,তামা ইত্যাদি রপ্তানি করতো ৷ বিনিময়ে চিনেমাটির দ্রব্য,দামি দামি পাথর আমদানি করতো। মুদ্রার ব্যবহার তেমন একটা প্রচলন ছিল না ৷ যার ফলে শুধু তখন বিনিময় প্রথার প্রচলন ছিল ৷ ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরে সিন্ধু সভ্যতার সাথে বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ৷ গৃহ নির্মাণ , রাস্তাঘাট প্রভৃতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সভ্যতার প্রযুক্তির আদান-প্রদান ঘটেছিল ৷ মেসোপটেমিয়া ও সুমেরু অঞ্চলের সঙ্গে সিন্ধু অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়ে মিল দেখা যায় ৷ এ থেকে বোঝা যায় যে এই সকল দেশের সঙ্গে সিন্ধু সভ্যতার বাণিজ্যের যোগসূত্র ছিল ৷

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟