খুদকস্ত রায়ত ও পাইকস্ত রায়ত বলতে কী বোঝা ?

খুদকস্ত রায়ত ও পাইকস্ত রায়ত বলতে কী বোঝা ?

 খুদকস্ত রায়ত ও পাইকস্ত রায়ত বলতে  কী বোঝা ?

খুদকস্ত রায়ত ও পাইকস্ত রায়ত বলতে  কী বোঝা ?

ভারত হল একটি কৃষিপ্রধান দেশ । এই কাজে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল এই কৃষি সমাজ ৷ পাকঔপনিবেশিক ভারতে কৃষক সমাজে- বিভিন্ন স্তর ছিল । গামীন কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদনে হ্রাসবৃদ্ধির সাথে কৃষক সমাজ । সাথে-কৃষকের অবস্থানের ওপর পরিবতন ঘটত । এই ধরনের অবস্থান গত পরিবর্তনের ফলে ফলে-দুধরনের কৃতক দেখা যায় খুদকস্ত-ও পাইকস্ত । খুদকস্ত কৃষকরা ছিল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা যারা বংশানুমিক ভাবে জমি চাষ করত । এরা মূলত নিজের গরু বলদ ও হালের মধ্যেমে নিজের জমিতে  চাষ করত। যে কারণে তাদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে বলা হত "গরু-হাল রায়ত" ৷


গরু হালের সামাজিক পতিপতি নির্ভর করত তাদের গরু ও হালের ব্যবহারের উপর ৷ তবে রাজস্থানের সকল খুদকস্ত কৃষকে গরু হাল বলা হত না। অথাৎ যাদের- উচ্চতর সম্পদ ছিল তাদের বলা হয় 'গরুহাল' ৷ এই খুদকস্ত কৃষকরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার ভাড়াটে শ্রমিকের ব্যবস্থা করত । এই ভাড়াটে শ্রমিক নেওয়ার কারণ হল উচ্চবর্নের গরু হাল কৃষকরা যেমন ব্রাহ্মণ ও রাজপুতদের পরিবারগুলি ৷ যেহেতু কৃষিকাজে অংশ গ্রহণ করতনা সেহেতু ভাড়াটে কৃষকদের ওপর নির্ভর হত । তবে এই ভারাটে শ্রমিক নেওয়া হয় ফসল কাটার সময় ।


পাইকস্ত বলতে সেইসব কৃষকদের বোঝত যারা অন্য গ্রাম থেকে আগত হত । তবে একই জমিদারের অধীনে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে আগত কৃষককে পাইকস্ত বলা হত । এই অস্থায়ী কৃষকরা- অন্য গ্রামে চলে যেত কারণ তাদের গ্রামে  যথেষ্ট কৃষির উৎপাদনের অভাব ছিল ।  কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পদশালী খুদকস্তরা তাদের কৃষিকাজে লাগত । তবে শর্ত ছিল যে উৎপাদনের একটি অংশ খুদকস্তদের দিতে হবে । পাইকস্তরা খুদকস্তদের খাজনা দিয়ে প্রজা শত্ব ভোগ করত । কিছু  পাইকস্ত অপেক্ষাকৃত ধনী ছিল তাদের নিজম হাল ও বলদ  ছিল। কিছু নতুন জমিতে অর্থাৎ যে জমি খুদকস্তরা ছেড়ে চলে  যেত সেখানে চাষের  জন্য পাইকস্তদের নিয়োগ করা হত ৷ এমনকি চাষের জমি বৃদ্ধি করার জন্য গ্রাম প্রধান বা জমিদাররা নতুন  নতুন জমিকে চাষযোগ্যকরার চেষ্টা করত পাইকস্তদের মাধ্যেমে । 


গ্রামীন সমাজ ব্যবস্থায় খুদকস্তরা পাইকস্তদের তুলনায় পতিপত্বশালী ছিল। তবে এই পতিপত্বির পিছনে জাত বা বর্ণ ব্যবস্থা  কেনো ভূমিকা ছিলনা । আসলে খুদকস্তদের সামাজিক পতিপত্বির প্রধান কারন ছিল গ্রামের সামাজিক সংগঠনে তাদের বিশেষ মর্যদা ছিল । অন্যদিকে পাইকস্তরা ছিল অস্থায়ী বাসিদা এবং গ্রামে তাদের নিজস্ব কোনো বাসগৃহ ছিলনা । সেই কারণে  গ্রামীণ সমাজিক সংগঠনে তাদের মর্যদা  ছিলনা ।  অর্থাৎ পাইকস্ত রায়তদের থেকে খুদকস্ত রায়তরা বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করত।


📛সম্ভাব্য প্রশ্ন গুলি হলঃ -

  • খুদকস্ত ও পাইকস্তা রায়ত কারা ছিল ?
  • খুদকস্ত রায়ত ও পাইকস্তা রায়ত কারা?
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ খুদকস্ত রায়ত ও পাইকস্ত রায়ত বলতে কী বোঝা ? এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟