ধর্ম সংস্কারের ইতিহাসের জন কেলভিনের ভূমিকা আলোচনা কর

ধর্ম সংস্কারের ইতিহাসের জন কেলভিনের ভূমিকা আলোচনা কর

 ধর্ম সংস্কারের ইতিহাসের জন কেলভিনের ভূমিকা আলোচনা কর অথবা,ধর্মসংস্কারের ইতিহাসে ক্যালভিনের অবদানের মূল্যায়ন কর। 

ধর্ম সংস্কারের ইতিহাসের জন কেলভিনের ভূমিকা আলোচনা কর

 ধর্ম সংস্কারের ইতিহাসের জন কেলভিনের ভূমিকা 

 ইউরোপের ধর্ম সংস্কারের আন্দোলনের ইতিহাসে যে সকল নক্ষত্রের নাম চিরকাল ভাস্কর হয়ে থাকবে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো জন কেলভিন, জন হাস,  জেরান্ড উইনস্ট্যানলি, জুইংলি,মার্টিন লুথার প্রমুখো ৷ ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের ঐতিহ্যের দিক দিয়ে এ কথা বলা যায় যে জন কেলভিন ছিলেন ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের ইতিহাসে এক প্রবাদ প্রতি নেতৃত্ব ৷ সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরকে কেন্দ্র করে কেলভিন তার মহান কাণ্ড শুরু করেন ৷ তারই উদ্যোগে জেনেভাই প্রথম ধর্ম সংক্রান্ত সংবিধান রচিত হয় ৷ দর্শন চিন্তা সম্পর্কিত তার সক্রিয় মতবাদ তিনি বক্তব্য করেন ইনস্টিটিউট অফ খ্রিস্টান রিলিজিয়ান নামক পুস্তকে ৷ কেলভিন বাদ ছিল একটি অগ্রাসী ও আক্রমণাত্মক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাদের এক বিশেষ আকার ।



কেলভিন বাদের মূল বক্তব্য ছিল "সেফারেন্টি অফ গড" অর্থাৎ ঈশ্বরের সর্বময় কর্তৃত্ব ৷ কেলভিনের মতে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের টান মানুষের উর্ধ্বে এই মতবাদের প্রভাবে ইউরোপের বহু দেশে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে ওঠে ৷ সর্বময় ঐশ্বরিক কর্তৃত্বের মধ্যে গভীরভাবে সম্পর্কিত ছিল "ইলেকশন অ্যান্ড প্রিভেনসিয়াল" তথ্যটি ৷ ঈশ্বর কিছু স্বল্প সংখ্যক মানুষকে পার্থক্য বন্ধন থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য নির্বাচিত করেছেন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই নরকের শাস্তি প্রাপ্ত এটাই ঈশ্বরের ন্যায় বিচার এবং মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া আবশ্যিক ৷ কেলভিন মনে করেন ঈশ্বর অনেকবার অত্যাচারিত ও নিষ্ঠুর শাসকদের হাত থেকে জনগণকে বাঁচিয়েছেন ৷



অধিজাতন্ত্রে বিশ্বাসী কেলভিন মনে করেন যে রাষ্ট্রের মোটামুটি দুটি শাখা যথা কাউন্সিল অফ মিনিস্টার এবং কন জেস্টিং এই দুটি শাখা নিয়ে তৈরি হয় সুপ্রিম কাউন্সিল ৷ বাইবেলকে তিনি আইনের মূল উৎস হিসাবে ধরেছেন ৷ কেলভিনের মতবাদের সঙ্গে পোপ পন্থী মতবাদের কিছু ক্ষেত্রে সাদৃশ্য দেখা যায় ৷ কারণ দুটি পথই আধ্যাত্মিক শক্তির শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেছেন । ফলে বাস্তবিক ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য রয়েছে ৷ যেমন কেলভিন বলেন চার্চ যে হলো ঈশ্বরের মহাপীক্ষে কিন্তু পোপ-পন্থী কেলভিনের এই মতবাদ মানতে রাজি ছিল না ।


কেলভিনের যুক্তি ও মানবতাবাদী রূপে অস্বীকার করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত উত্তর নেদারল্যান্ড, প্যালেস্তাইন ইত্যাদি রাষ্ট্রে কেলভিন বাদ রাষ্ট্রীয় ধর্ম রূপে স্বীকৃতি লাভ করেন ৷ পোল্যান্ড, বোহেমিয়া এবং হাঙ্গেরিতেও জন কেবিনের মতবাদের প্রসার ঘটেছিলেন ৷ এমনকি ইংল্যান্ডের জনজীবনের কেলভিনবাদের প্রভাব অনুভূত হয়েছিল ৷



কেলভিন বাদের বিশেষত হল এই মতবাদ কেবল বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলনরূপে সীমাবদ্ধ ছিল না ৷ তার প্রভাব অনুভূত হয়েছিল রাজনৈতিক মতবাদ, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক আদর্শ রূপে ৷ রাজনৈতিক মতবাদের ক্ষেত্রে কেলভিন বাদ এক অভিনব দিগন্ত অনুসূচিত করা যেতে পারে ৷ তবে সামাজিক বিষয় কেলভিন ছিলেন যথেষ্ট রক্ষণশীল ৷ কেলভিন বাদিরা নর নারীর অবাধ মেলামেশা, পোশাক পরিচ্ছদ, শিল্প সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে গোড়ার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছেন ৷ তার সত্বেও ধর্ম সংস্কার আন্দোলনে কেলভিনের মতবাদের গুরুত্ব অপরিসীম ৷ কারণ কেলভিন এমন এক ধর্মীয় আদর্শ যা অন্তত কঠোর কিছু যুক্তিবিদ্যার কাছে গভীর আবেদন রাখতে সক্ষম ৷


সম্ভাব্য প্রশ্নগুলি হলঃ

  • জন কেলভিন এর মতামত আলোচনা কর
  • জন কেলভিন সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টিকা আলোচনা কর

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ধর্ম সংস্কারের ইতিহাসের জন কেলভিনের ভূমিকা আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟