বাঙালির বুদ্ধিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে আলোচনা কর

বাঙালির বুদ্ধিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে আলোচনা কর

 বাঙালির বুদ্ধিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে আলোচনা কর


উনবিংশ শতকে বাংলার সাংস্কৃতি জাগরণের সূত্রপাত ঘটেছিল প্রাচ্যবাদী,পাশ্চাত্যবাদী ও খ্রিস্টান মিশনারীদের যৌথ উদ্যোগে ৷ যেসব ভারতীয় ইংরেজ পরিচালিত সাংস্কৃতিক কার্যকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল তাদের অধিকাংশই এসেছিল ভূস্বামী অভিজাত শ্রেণি বা বণিক শ্রেণী থেকে ৷ যারা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও কোম্পানির নতুন বাণিজ্য নীতির দ্বারা যথেষ্ট লাভবান হয়েছিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রধান ক্রুটি ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রতি প্রয়োগ প্রশংসা মূলক দৃষ্টিভঙ্গি ৷ কারণ তাদের অস্তিত্ব নির্ভর করত ইংরেজ শাসনের টিকে থাকার উপর ৷ তবে পরাধীন কাঠামোর মধ্যে সাধারণভাবে থাকা সত্ত্বেও বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের আনুগত্য এবং সামাজিক বা ধর্মীয় বিষয়ে ঐক্যমত ছিল না ।


এই নতুন ইংরেজি শিক্ষিত শ্রেণীর মতাদর্শ এদেশের সাবেকি সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোর বন্ধনে ও উপাদানে যেমন জাতিভেদ প্রথার যোগদান বেড়াজালে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করেছিল কিন্তু তার সত্বেও তারা ইংরেজি শিখতে  ও পাশ্চাত্য জ্ঞান লাভ করতে উপযুক্ত হয়েছিল ৷ তবে ঊনবিংশ শতকের বাংলার বুদ্ধিজীবী আত্মনির্ভর কতগুলি গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল ৷ আর এই গোষ্ঠী বা দলের নেতা কে বলা হতো দলপতি ৷ ১৮২০ থেকে ৫০ পর্যন্ত নথিতে এইরকম পাঁচজন দলপতি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তারা হলেন আশুতোষ দেব,উদয় চাঁদ দত্ত,রাধামাধ ব্যানার্জি, কালাচাঁদ বোস রাধাকান্ত দেব ৷ দলপতি হওয়ার প্রধান ধাপকাঠি হল অভিজাত উচ্চ বংশজাত ধনী এবং প্রভাবশালী হওয়া ৷ এই দলগুলি ছিল সমাজ ও রাজনীতি দ্বারা পরিচালিত ৷ যেমন ধর্মসভা যেটা একাধিক দলের গঠিত একটি সংস্থা ৷ রামমোহন রায় তার বিভিন্ন কার্যসিদ্ধির জন্য অন্তত দুজন গুরুত্বপূর্ণ দলপতির সমর্থন নিয়েছিলেন



যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভারতীয় সমাজে পাশ্চাত্য চিন্তাধারার অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছিল তার ফলে বাংলার চিন্তার জগতে নিজস্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল ৷ যার মধ্যে দিয়ে বাঙালি ও বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় উদারপন্থী ও রক্ষণশীল এই দুটো শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে । কিন্তু এই দুই শ্রেণীর ছিল প্রচলিত ঐতিহ্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ৷ পাশ্চাত্যের ধর্মনিরপেক্ষ ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে কোন পক্ষেই বিশেষ পছন্দ করত না ৷ যেমন হিন্দু বনোজের ও রাধাকান্ত দেব ডিরোজিও অধ্যক্ষীয় আচরণের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন ৷ আবার রামমোহন ডিরোজিও বিরোধিতা হবার জন্য আলেকজান্ডার ড্রাফের সাহায্য নিয়েছিলেন ৷ তবে বিভিন্ন দলগুলির মতে মতানৈক্যের সত্বেও শিক্ষার বিস্তারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তার হিন্দু সম্মানিত হিন্দু ছেলেদের ইংরেজি ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিত করতে বিশেষ আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন ৷


তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বাঙালির বুদ্ধিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্পর্কে আলোচনা কর এই নোটটি পড়ার জন্য

About the author

Irisha Tania
"আমি সেই মেয়ে, যে শব্দে বাঁচে। কলম আমার অস্ত্র, আর কাগজ আমার স্বপ্নের আকাশ। প্রতিটি অনুভব, প্রতিটি চিন্তা আমি সাজিয়ে রাখি অক্ষরের গাঁথুনিতে। কখনো গল্পে, কখনো কবিতায়, আবার কখনো নিঃশব্দের ভেতরে। আমি লিখি, কারণ লেখার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। …

Post a Comment

🌟 Attention, Valued Community Members! 🌟